Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শহরের কোন পথে একুশের মিছিল, এড়াবেন কোন পথ, জেনে নিন

মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এ বার সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে। সেটাই আরও চিন্তা বাড়িয়েছে পুলিশের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৩
Share: Save:

কোন পথে চলবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

আজ, শুক্রবার ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে চিন্তায় পুলিশ থেকে আমজনতা। সভাস্থলমুখী মিছিলের গতিবিধি কেমন হবে, তার ভিত্তিতেই যান শাসনের ছক কষেছে পুলিশ। মিছিল কখন, কোথায় থাকবে তা আঁচ করে কোন রাস্তায়, কখন গাড়ি চলবে তা ঠিক করছেন পুলিশ কর্তারা। কিন্তু এই পুলিশি ব্যবস্থাতেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কতটা এড়ানো যাবে, তা নিয়ে লালবাজার সন্দিহান।

মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এ বার সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে। সেটাই আরও চিন্তা বাড়িয়েছে পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরের আটটি জায়গা থেকে বড় মিছিল সভাস্থলে যাবে। এ ছাড়া আরও দশটি জায়গা থেকে ছোট মিছিল যাওয়ার কথা। ফলে শুক্রবার সকাল দশটার পর থেকেই শহরের বড় কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা জনতার। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের মোড়ে সভাস্থল হওয়ায় ওই দু’টি রাস্তা শুক্রবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

পুলিশ জানিয়েছে, মিছিলের কারণে কোনও রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘোরানো হবে অন্য বারের মতোই। সেক্ষেত্রে বিকল্প কয়েকটি রাস্তা পুলিশ বেছে নিয়েছে বলে লালবাজারের দাবি। মিছিলের জন্য হাওড়া থেকে আসা উত্তর কলকাতামুখী গাড়ি কালীকৃষ্ণ ঠাকুর রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে পাঠানো হবে। আর দক্ষিণ কলকাতামুখী গাড়িগুলিকে ব্রেবোর্ন রোড, বি বা দী বাগ হয়ে পাঠানো হবে। তবে এ বারই প্রথম ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে মিছিল যাওয়ার কথা। ফলে এ বার পুলিশের উপরে চাপ বাড়ছে।

আরও পড়ুন: কোবিন্দ জিতলেও দম্ভ ঘুচল বিজেপির

অন্য দিকে, উত্তর কলকাতা থেকে আসা হাওড়ামুখী গাড়ি মহাত্মা গাঁধী রোড ও স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড দিয়ে আর্মেনিয়ান ঘাট হয়ে হাওড়া ব্রিজে যাবে। এ জন্য ওই রাস্তার দু’ধারে সব পার্কিং তুলে দেওয়া হচ্ছে। সভার জন্য চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ বন্ধ হয়ে গেলে দক্ষিণমুখী গাড়ি গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ অথবা বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট দিয়ে বি বা দী বাগে পাঠানো হবে। এ ছাড়াও মৌলালি থেকে দক্ষিণমুখী গাড়ি সিআইটি রোড, পার্ক সার্কাস দিয়ে পাঠানো হবে বলে পুলিশের দাবি। উত্তরমুখী গাড়ির জন্য প্রয়োজন মতো পরিকল্পনা বদলানো হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে।

প্রথমে তৃণমূল ঠিক করেছিল, মিলন মেলায় ভিন্‌ জেলা থেকে যে তৃণমূল কর্মীরা এসে রয়েছেন তাঁদের ই এম বাইপাস দিয়ে মিছিল করিয়ে বেলেঘাটা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু বাইপাসে যানজটের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সেই পরিকল্পনার বদল ঘটেছে। ওই কর্মীদের বাসে করে পার্ক সার্কাস নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে মিছিল হবে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বাঁধা মঞ্চের আশপাশে থাকা প্রায় সব বহুতলের দখল থাকবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। শুক্রবার সকাল থেকে ওই সব বহুতলের প্রতিটির ছাদে থাকবেন দু’জন করে পুলিশকর্মী।

নিরাপত্তার দেখভাল করার জন্য শুক্রবার শহরে মোতায়েন থাকবেন ১৯ জন ডেপুটি কমিশনার। তাঁদের প্রত্যেকের অধীনেই থাকবে বিশাল বাহিনী। সভাস্থলের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য এক জন বিশেষ কমিশনার ও দু’জন অতিরিক্ত কমিশনার থাকছেন।

লালবাজার সূত্রে খবর, এ ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। শহরের ২৬টি জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ পিকেট থাকছে। সঙ্গে শাসক দলের ৩২টি ক্যাম্পে সহযোগিতার জন্য থাকবেন এক জন করে পুলিশ অফিসার।

• জমায়েত শুরু: সকাল ৮টা থেকে

• গন্তব্য: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে

• সভা শুরু: দুপুর ১২টা

• অটো-অবস্থা: তৃণমূলের নেতারাই জানাচ্ছেন, সকাল ন’টার পর থেকে অটোও মিলবে হাতোগোনা। অন্য দিনের মতো অটোর ভরসায় বাড়ি থেকে না বেরোনোই ভাল।

• বাস-ট্যাক্সি: মালিকদের দাবি, অন্য দিন শহরে মিনিবাস থাকে ১২০০। শুক্রবার থাকবে পাঁচশোর মতো। বেসরকারি বাস থাকে চার হাজারের মতো। শুক্রবার থাকবে হাজারখানেক।
ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাবের সাহায্যও মিলবে কি না সন্দেহ।
যানজটের ভয়ে বিকেল পর্যন্ত অনিশ্চিত।

• মেট্রোই ভরসা: মাটির নীচেই ভরসা বেশি। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতেও সাহায্য করবে মেট্রো।
ভিড় সামলাতে ১০টি মেট্রো স্টেশনে বাড়তি পুলিশ।

• ভোগান্তি বাড়াতে পারে বৃষ্টি: শুক্রবার শহরে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

• পুলিশি সাহায্য: সব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, রাস্তার পাশে কিয়স্কে, ডোরিনা ক্রসিংয়ে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হবে
লালবাজার কন্ট্রোল (২২১৪৩২৩০)
ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (২২১৪৩৬৪৪)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE