মারধরের এই ছবিই বোনকে পাঠিয়েছিলেন নন্দিতা। ফাইল চিত্র।
মানিকতলায় বধূর মৃত্যুর ঘটনায় এ বার তাঁর ননদকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম শেলি বিশ্বাস। সোমবার দুপুরে বারাসত থেকে শেলিকে গ্রেফতার করেছে মানিকতলা থানার পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে।
শনিবার রাতে মানিকতলা থানা এলাকার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর তেইশের নন্দিতা বিশ্বাসকে। আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই রাতেই গ্রেফতার হন নন্দিতার স্বামী তন্ময় বিশ্বাস। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফজাতে রয়েছেন। তবে নন্দিতার পরিবারের তরফে তাঁর ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধেও নিয়মিত অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়।
মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা ভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছিল নন্দিতার উপরে। বাড়ি থেকে নানা জিনিস নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হতো তাঁকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এ সব ঘিরে বিয়ের পর থেকেই তন্ময় ও নন্দিতার মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। সে কথা নিজের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন নন্দিতা। মৃতার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁর উপরে শারীরিক অত্যাচারের হওয়ায় সেই ছবিও খুড়তুতো বোনকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। নিয়মিত চলা সমস্যার সমাধান করতে চেয়ে নন্দিতার পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। কিন্তু কথা আর এগোনোর আগেই খবর যায় নন্দিতার মৃত্যুর। তন্ময়ের পরিবারের তরফে দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের তরফে নন্দিতার পরিবারকে ফোন করা হয়েছিল সে দিনের সমস্যা নিয়ে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ঘটনার রাতে ননদের সঙ্গে ঝামেলা হয় নন্দিতার। তার পরেই নন্দিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নন্দিতার পরিবারে তরফে নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয় তন্ময় এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy