Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গাড়ির তাণ্ডবে নাজেহাল পুলিশ

লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই এসইউভি গাড়িটিকে ধরা না গেলেও পরে সেটি আটক করা হয়। পাকড়াও করা হয়েছে চালককেও। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে আঘাত এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে যুধাজিৎ পাল নামে ওই চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আটক: এই গাড়িটিই ধাওয়া করে ধরে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

আটক: এই গাড়িটিই ধাওয়া করে ধরে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৯
Share: Save:

পুজোর রাতে বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব শহরে। একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ছুটতে থাকা সেই গাড়িটিকে আটকাতে গিয়ে জখম হলেন পুলিশের এক কর্মী।

লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই এসইউভি গাড়িটিকে ধরা না গেলেও পরে সেটি আটক করা হয়। পাকড়াও করা হয়েছে চালককেও। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে আঘাত এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে যুধাজিৎ পাল নামে ওই চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি গড়িয়াহাট থানা এলাকার ফার্ন প্লেসে। গাড়িটি গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি সংস্থার নামে কেনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, চালক ওই সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিলেন।

কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে?

লালবাজার জানিয়েছে, রাত একটা নাগাদ পুলিশকর্মীরা দেখতে পান, বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে রাস্তার মাঝখানে থাকা লোহার ব্যারিকেডে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাচ্ছে একটি গাড়ি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করলে চালক গাড়ি ঘুরিয়ে কুইন্স ওয়ে ধরে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, লাভার্স লেন দিয়ে রেড রোডের দিকে যাওয়ার আগে গাড়িটি ফের পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে। পরে রেড রোড দিয়ে ইউ টার্ন করে খিদিরপুর রোডের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের এক হোমগার্ড লোহার ব্যারিকেড রাস্তার মাঝখানে নিয়ে এসে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের কর্তারা জানান, এক জন পুলিশকর্মী ব্যারিকেড দিয়ে থামানোর চেষ্টা করছে দেখেও তাঁকে উপেক্ষা করেই বেপরোয়া ভাবে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই চালক। এসইউভি গাড়িটি সোজা ধাক্কা মারে ব্যারিকেডে। ব্যারিকেড গিয়ে লাগে ওই হোমগার্ডের গায়ে। পরে পুলিশের অন্য কর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর মধ্যেই গাড়িটি খিদিরপুরের দিকে চলে যায়। লালবাজারের তরফে গোটা শহরে সর্তকতা জারি করা হয় ওই গাড়িটিকে ধরতে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এক কনস্টেবল সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে ওই বেপরোয়া গাড়িটিকে দেখতে পান। সেখানকার কর্তব্যরত সার্জেন্ট প্রথমে সেটিকে থামাতে না পেরে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করেন। ফার্ন রোডে গাড়িটিকে আটক করেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, রাতের শহরে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁদের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা রয়েছে। আটক গাড়িটির বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার জন্য মোট ৪০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি সাইটেশনের মামলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE