ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে হামলা চালানো হবে বলে সম্প্রতি এক ভিডিও–বার্তায় হুমকি দিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি জঙ্গি সংগঠন। আর সেই হুমকির কথা মাথায় রেখেই কাল, বর্ষবরণের রাতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে শহর কলকাতাকে।
লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের বিশেষ নজর থাকছে ৩১ ডিসেম্বরের দিকে। সেই রাতে পার্ক স্ট্রিট ও ধর্মতলা-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় উপচে পড়ে। এ বছর ২৪ ডিসেম্বর রাতে ভি়ড় এতটাই বেশি ছিল যে, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে পুলিশ। তা ছাড়া, জঙ্গিরা সাধারণত ভিড়ে ঠাসা এলাকাই হামলার জন্য বেছে নেয়। এই কারণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, বিশেষ করে ধর্মস্থানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শপিং মল, নাইট ক্লাব, হোটেল এবং বারের বাইরেও প্রচুর সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীদের মোতায়েন রাখা হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, বছরের শেষ দিন, অর্থাৎ কাল দুপুর তিনটে থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকা পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। সেই পুলিশকর্মীদের সংখ্যাও ২৪ ডিসেম্বরের রাতের প্রায় দ্বিগুণ। সাধারণ পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি ওই রাতে ন’জন ডিভিশনাল অফিসার, ৩৪ জন এসি এবং ১১৪ জন ইনস্পেক্টর রাস্তায় নামছেন ভিড় ও নিরাপত্তা সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে। থাকছেন সাব-ইনস্পেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ছাড়াও ২৮৫৬ জন পুরুষ ও ৩১৯ জন মহিলা পুলিশকর্মী। থাকছে একাধিক পুলিশ পিকেট, পুলিশি সহায়তা বুথ, কুইক রেসপন্স টিম, হেভি-রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস) এবং ড্রোন।
এক দিকে উপচে পড়া ভিড় আর নাশকতার আশঙ্কা। অন্য দিকে অন্যান্য অপরাধ, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা— সব মিলিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি কলকাতা পুলিশের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘অন্য বছরেও একই ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার ২৪ ডিসেম্বরই যে পরিমাণ জনসমাগম হয়েছিল, তা এককথায় রেকর্ড। সেই হিসেব মাথায় রেখেই বর্ষবরণের জন্য তৈরি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy