Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ বার ওষুধের বিলেও নজর পুলিশের

অ্যাপোলো-কাণ্ডে এ বার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং‌ চিকিৎসা সামগ্রীর বিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।লালবাজারের খবর, ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় কী কী ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তার কত দাম হয়েছিল, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০১:১১
Share: Save:

অ্যাপোলো-কাণ্ডে এ বার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং‌ চিকিৎসা সামগ্রীর বিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

লালবাজারের খবর, ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় কী কী ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তার কত দাম হয়েছিল, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার অ্যাপোলো হাসপাতালের ফার্মাসির দায়িত্বে থাকা জেনারেল ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাত দিন অ্যাপোলো-য় চিকিৎসাধীন ছিলেন সঞ্জয়। ওই ক’দিনে তাঁর প্রায় সাত লক্ষ টাকা বিল হয়, যার বেশির ভাগটাই ছিল ফার্মাসির। পুলিশের দাবি, তালিকা মিলিয়ে কিছু অসঙ্গতি নজরে পড়ে তদন্তকারীদের। তাই এ দিন তলব করা হয় ফার্মাসির জেনারেল ম্যানেজারকে। লালবাজার সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলে দেড় ঘণ্টা। পুলিশের তলব পেয়ে বিকেল তিনটে নাগাদ ওই কর্তা প্রথমে ফুলবাগান থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের (ইএসডি) অফিসে। ডিসি ও অন্য কর্তাদের সামনেই হাসপাতালের
ওই কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার।

সঞ্জয় রায়ের ঘটনা সামনে আসার পরেই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। তার মধ্যে অন্যতম বাইপাস লাগোয়া আমরি হাসপাতাল। নদিয়ার বাসিন্দা দিনকর অধিকারীর সঙ্গে প্রতারণা, চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ওই হাসপাতাল থেকে নথি তলব করেছিল পুলিশ। শনিবার রাত পর্যন্ত তা জমা পড়েনি বলেই দাবি পুলিশের। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি ও ভিডিও ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট তথ্য পেলেই সঠিক তদন্ত হওয়া সম্ভব।’’ তবে পুলিশ সূত্রের খবর, তথ্য জমা না দিলেও আইনি পথে হাঁটতে পারে তারা।

এ দিকে, কুলতলিতে লরির ধাক্কায় পা হারানো সুনীল পাত্রকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় একবালপুরের ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিএমআরআই) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চেয়ে পাঠানো হয়েছে ওই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি। পুলিশের দাবি, ওই রোগী পিজিতে ভর্তি থাকায় শনিবার পর্যন্ত নথি জমা দেননি পরিজনেরা। পুলিশ জানায়, রোগীর পরিবারের তরফে ওই হাসপাতালের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু ওই নথি না মিললে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিসিটিভি-সহ বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখার জন্য আগামী সপ্তাহেই তদন্তকারীরা ওই হাসপাতালে যাবেন বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Apollo Hospital Medicine Bill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE