জামিন পেলেন প্রবীণ বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিচারপতি জানান, ধীমানবাবু এক জন নামী, প্রবীণ চিকিৎসক। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। জামিনের পরে তাঁকে প্রতি সপ্তাহে এক বার তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে।
এ দিন পুলিশ এই মামলা সংক্রান্ত যে সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দিয়েছে, তা ফরেন্সিক যাচাইয়ের জন্য পাঠাতে বলেছে আদালত। কারণ, ওই সব ফুটেজের সত্যতা নিয়ে কোনও শংসাপত্র জমা দেয়নি পুলিশ। আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযোগকারীর গোপন বয়ান এবং সিসিটিভি-র ফুটেজের মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে। তাই লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে এবং তদন্তকারী অফিসারকে পদমর্যাদায় অন্তত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হতে হবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফুলবাগানের একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী দেখছিলেন ধীমানবাবু। সেই সময়ে মা ও কাকিমার সঙ্গে এক তরুণী তাঁকে দেখাতে আসেন। পরে সেই তরুণী ধীমানবাবুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে চিকিৎসক মহলে অনেকেই অবশ্য সন্দিহান।
এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, অভিযোগকারিণী অভিযুক্ত চিকিৎসকের চেম্বারে পরিবারের দুই মহিলা সদস্যকে নিয়েই ঢুকেছিলেন। অভিযোগকারীর আইনজীবী দেবাশিস রায় জানান, তিনি দু’জনকে নিয়ে ঢুকেছিলেন ঠিকই, তবে ভিতরে একটি পর্দার আড়ালে নিয়ে গিয়ে তাঁর পরীক্ষা করা হচ্ছিল। ধীমানবাবুর আইনজীবী শেখর বসু জানান, অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি এবং সিসিটিভি-র ফুটেজে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এর পরেই আদালত ধীমানবাবুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy