সিবিআই-এর দাবি, রিজওয়ানুর রহমান সুইসাইড নোটে এক পুলিশ অফিসার-সহ কয়েক জনকে তাঁর আত্মহত্যার জন্য দায়ী করেন। তাঁর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিম্ন আদালতে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে, তাতে কয়েক জনের নাম নেই কেন, তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সিবিআই-এর আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘‘তা হলে কি বলতে চান, ওঁরা প্রভাবশালী বলে নাম নেই?’’
সিবিআই জানায়, ব্যবসায়ী অশোক তোদির মেয়ে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ২০০৭-এ বিয়ে হয় রিজওয়ানুরের। প্রিয়ঙ্কার পরিবার তাতে রাজি ছিল না। বিয়ে ভেঙে দিতে উঠেপড়ে লাগে তোদি পরিবার। অভিযোগ, তার জেরেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করে সিবিআই। ২০০৮ সালে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দেয় তারা।
সুইসাইড নোটে তাঁদের নাম নেই। কিন্তু সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেছেন অশোক তোদি, তাঁর ভাই প্রদীপ তোদি-সহ কয়েক জন। বুধবার তার শুনানিতেই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়। এ দিন প্রদীপ তোদির আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে অভিযোগ করেন, রিজওয়ানুর সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম লিখে যান, তাঁদের কয়েক জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে সিবিআই। সন্দীপনবাবু বলেন, তাঁর মক্কেলের নাম চার্জশিটে কেন ঢুকল, নিম্ন আদালত তার উত্তরও জানতে চায়নি সিবিআই-এর কাছে।
বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য শুনে সিবিআই-এর আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলি জানান, মামলার সব নথি না দেখে উত্তর দিতে পারবেন না। এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। ওই দিন সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে না থাকায় তা হয়নি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় সিবিআই-এর যুগ্ম-অধিকর্তাকে বুধবার আদালতে আসতে বলেন। তা সত্ত্বেও তিনি আসেননি। সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, দিল্লিতে পূর্ব-নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। যুগ্ম-অধিকর্তাকে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। আর্জি মানেননি বিচারপতি। আগামী সপ্তাহে তাঁকে হাজির হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy