মিছিল এবং পাল্টা মিছিলের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই রাস্তায় বেরিয়ে ফের ভোগান্তির শিকার হতে হল সাধারণ মানুষকে। দুই মিছিলের জেরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়ে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা হয় অফিসপাড়ার।
সোমবার প্রথম মিছিলটি বেরোয় দুপুর দেড়টা নাগাদ। বুধবারের বন্ধ ডাকার বিরোধিতা করে এস এন ব্যানার্জি রোডে পুরসভার সামনে থেকে এই মিছিলটি বার করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিছিলটি ডোরিনা ক্রসিং থেকে লেনিন সরণি দিয়ে গিয়ে মৌলালি হয়ে ফের এস এন ব্যানর্জি রোডে পুর-ভবনের সামনে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিলটি মৌলালি পর্যন্ত না গিয়ে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোডে ঢোকে। শেষ হয় ডোরিনা ক্রসিং এবং চৌরঙ্গি রোডের সংযোগ স্থলে। সেখানেও ব্যস্ত রাস্তার একাংশে একটি পথসভা করেন আইএনটিটিইউসি-র নেতারা।
এর জেরে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে দাঁড়িয়ে পড়ে বহু যানবাহন। সেই ভিড়ে আটকে যায় স্কুল ফেরত পড়ুয়াদের গাড়িও। এই মিছিলের ফলে সোমবার দুপুরে ডোরিনা ক্রসিং, লেনিন সরণি, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ পথচারীদের।
খিদিরপুর থেকে রাজাবাজার যাওয়ার জন্য এ দিন ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন সুবল সাহা। তাঁর অভিযোগ, লেনিন সরণিতে মিছিলের জেরে আধ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অন্য দিন খুব বেশি হলে রাজাবাজার পৌঁছতে চল্লিশ মিনিট সময় লাগে। আজ দেড় ঘণ্টা লাগল।’’
দুপুরের এই রেশ কাটতে না কাটতেই বিকেল চারটে নাগাদ ওয়াই চ্যানেলে বন্ধের সমর্থনে মিছিল করার জন্য জড়ো হয় বাম ও কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। ওই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে আরও দু’টি মিছিল আসে। এর পরে ধর্মতলা থেকে লেনিন সরণি ধরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার হয়ে কলেজ স্ট্রিটে গিয়ে শেষ হয়।
ফের যানজটে হাঁসফাঁস করতে শুরু করে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভোগান্তিতে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। এই মিছিলের জেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড-সহ শিয়ালদহ সংলগ্ন এলাকা।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ ধর্মতলার অফিস থেকে বেরোন বেলেঘাটার বাসিন্দা মন্টু ধর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অন্য দিন তাঁর অফিস থেকে বাড়ি পৌঁছতে সময় লাগে আধ ঘণ্টা। সেখানে আজ সময় লেগেছে সওয়া ঘণ্টা।’’ শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে অসুস্থ পরিজনকে দেখতে যাচ্ছিলেন আন্দুলের বাসিন্দা শৈবাল রায়। তিনি বলেন, ‘‘রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা। ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ যেতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট সময় লেগে যায়।’’
ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত ন’টা বেজে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy