বিপজ্জনক: খানাখন্দ ভরা রাস্তায় জমে আছে জল। সেখান দিয়েই নিত্য যাতায়াত। মঙ্গলবার, বেহালার মতিলাল গুপ্ত রোডে। —নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে বৃষ্টিতে জমা জলের সমস্যায় জেরবার, অন্য দিকে পানীয় জল নেই — কয়েক দিন ধরে এটাই বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাস্তব পরিস্থিতি।
সোমবার রাতে যদিও খুব একটা বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের এক-দু’পশলা শুরু হতেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বেহালা এবং সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। ১৩ নম্বর বরোর ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জমা জল ছিল গোড়ালি সমান। এমনকী এই এলাকায় ক’দিন ধরে পুরসভার পানীয় জলের কলও রয়েছে জমা জলের তলায়। এলাকার মুদি দোকানের মালিক জানালেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত তাঁর দোকানে ভিতরে জল ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু ফের যদি বৃষ্টি শুরু হয় তা হলে আবার দোকানে জল ঢুকে যাবে।
বেহালার পর্ণশ্রী সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ১২৯ নম্বর ওয়ার্ড বা রবীন্দ্রনগর এলাকা। সেখানে রবীন্দ্রনগর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন আদর্শনগরের মতো কিছু জায়গায় সোমবার থেকে জল নামতে শুরু করলেও বেশ কিছু জায়গায় গোড়ালির উপর পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। আর তা মাড়িয়েই বাজার, স্কুল বা অফিস যেতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় বরাবরই টানা বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। জমা জল নামতেও সময় লাগে। আগে বৃষ্টিতে জল জমলে পুরসভার গাড়ি এসে অন্তত পানীয় জল দিয়ে যেত। অভিযোগ, এ বার বেশ কিছু জায়গায় সেই জলের গাড়িও পৌঁছয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা রূপা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এত দিন ধরে জল মাড়িয়ে যাতায়াত করতে করতে এমন ঘা হয়ে যায় যে চিকিৎসক দেখাতে হয়। এ বার তো পানীয় জলের গাড়িও আসছে না। জল কিনে খেতে হচ্ছে।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর সংহিতা দাস জানান, বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে একটি ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে। কাজ শেষে তা জুলাইয়ে খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় এ বছর কিছু সমস্যা হচ্ছে। আগামী বছর থেকে আর জল জমবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy