Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিটি রোডের ধারে বিপদ

সময়ের সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির গতি। কিন্তু বিটি রোড চওড়া হয়নি। রয়েছে জবরদখ‌লের সমস্যাও। মাঝেমধ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ছবি বদলালেও তা সাময়িক। বিটি রোডের ধারে স্তূপ করে ফেলা থাকে নির্মাণসামগ্রী। অভিযোগ, এ ভাবেই চলে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসাও।

দখলদারি: এ ভাবেই রাস্তায় পড়ে রয়েছে ইমারতি দ্রব্য। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

দখলদারি: এ ভাবেই রাস্তায় পড়ে রয়েছে ইমারতি দ্রব্য। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

বিতান ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

সময়ের সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির গতি। কিন্তু বিটি রোড চওড়া হয়নি। রয়েছে জবরদখ‌লের সমস্যাও। মাঝেমধ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ছবি বদলালেও তা সাময়িক।

বিটি রোডের ধারে স্তূপ করে ফেলা থাকে নির্মাণসামগ্রী। অভিযোগ, এ ভাবেই চলে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসাও। গভীর রাতে লরি থেকে ইট-পাথর নামানোর কাজ চলে। দিনে ভ্যানে করে সে সব আশপাশের অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি কামারহাটি চটকলের কাছে বিটি রোডের ধারে রাখা পাথরের স্তূপে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় একটি দু’চাকার গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাঁ দিক দিয়ে একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়েই ঘটে এই বিপত্তি। ঘটনায় জখম হন ওই মোটরবাইকের চালক। রাস্তার ধারের পাথরের স্তূপে ধাক্কা লেগে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে সপ্তাহ খানেক আগে। খড়দহের টেক্সম্যাকোর উল্টো দিকের ওই ঘটনায় দু’টি বাইক আছড়ে পড়ে রাস্তায়। অভিযোগ, তবু কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের।

বিটি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে টিটাগড়, খড়দহ, পানিহাটি, কামারহাটি সর্বত্র এই চেনা ছবি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকেও পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে জানাচ্ছএন পূর্ত বিভাগের কর্তারা।

কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের বিমল সাহা বলেন, ‘‘এর সমাধানে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এলাকা ঘুরে নির্মাণসামগ্রী সরাতে আবেদন করেছি। প্রয়োজনে প্রশাসনকে বলেছি পদক্ষেপ করতে।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংযোগকারী এই রাজ্য সড়কের ধারে বহু পরিত্যক্ত কারখানা রয়েছে। সেখানে গজিয়ে ওঠা আবাসনে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করেন শাসক দলের আনুকূল্যে থাকা ব্যবসায়ীরাই। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই ব্যবসাও বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার কথাটা তাই লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।

পানিহাটির বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষের সাফাই, ‘‘দল কোনও বেআইনি ব্যবসা প্রশ্রয় দেয় না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি।’’

ইতিমধ্যেই বিটি রোড চওড়ার কাজে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পুরসভাগুলি। ফের গজিয়ে উঠেছে সে সব। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘আমাদের নজরে আছে এই সমস্যা। পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE