এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ম মেনে জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে কি না, রাস্তার ধারে ইট-বালি-সিমেন্ট ডাঁই করে রাখা আছে কি না, বাসিন্দারা নিরবচ্ছিন্ন পানীয় জল পাচ্ছেন কি না— এই বিষয়গুলি দেখার কথা ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের। তাঁদের যাতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই সব কাজ দেখভাল করতে সুবিধা হয়, সে জন্য সাবেক সল্টলেকের ২৫টি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের আগেই স্কুটার দেওয়া হয়েছিল।
এ বার বিধাননগর পুরসভার সংযোজিত এলাকা অর্থাৎ রাজারহাট-নিউ টাউন এবং মহিষবাথানের ১৬টি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদেরও স্কুটার দেওয়া হচ্ছে। এই খরচ করা হচ্ছে কাউন্সিলর উন্নয়ন তহবিল থেকে। প্রতিটি স্কুটার কিনতে খরচ পড়ছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
নবান্ন সূত্রের খবর, বিধায়কেরা এলাকা উন্নয়ন খাতে সরকারের থেকে বছরে ৬০ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন। সেই পথে হেঁটেই গত বছর বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, এলাকার উন্নয়নে প্রত্যেক কাউন্সিলরকেও ৫০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষ থেকে ওই টাকা বরাদ্দ করেন। এক পুর কর্তা জানান, এই ৫০ লক্ষ টাকায় প্রয়োজন মতো নর্দমা, রাস্তা, আলো, জলের ব্যবস্থার পাশাপাশি খেলার মাঠ সংস্কারের কাজও হচ্ছে।
সল্টলেকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানার দাবি, ‘‘কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরেরা বছরে ২৫ লক্ষ টাকা এলাকা উন্নয়নের জন্য পান। একমাত্র বিধাননগরের কাউন্সিলরেরাই ৫০ লক্ষ টাকা পাওয়ায় এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে।’’ দেবাশিসবাবু জানান, তাঁর এলাকা জি ডি ব্লকের খেলার মাঠ সংস্কার করা হচ্ছে এই টাকায়।
পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘রাজারহাট-নিউ টাউন অপেক্ষাকৃত নতুন এলাকা। বরাদ্দ টাকায় সেখানে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে, কোথাও লাগানো হয়েছে বাতিস্তম্ভ।’’ রাজারহাটের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ৫০ লক্ষ টাকায় খেলার মাঠ সংস্কার, উচ্চ আলোকস্তম্ভ বসানো, নিকাশি সংস্কারের কাজ প্রভৃতি হাতে নেওয়া হয়েছে।
যদিও কাউন্সিলরদেরই একাংশের অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভা পুর নিগমে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সল্টলেকের পরিকাঠামো বাড়লেও সংযোজিত এলাকার পরিকাঠামো সে ভাবে বাড়েনি। বিশেষত জঞ্জাল সাফাই, জল সরবরাহ, আলো ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া উচিত। প্রায় একই মত বাসিন্দাদেরও। ফলে এই ৫০ লক্ষ টাকার কতটা কার্যকর করা যাবে, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy