উদ্ধার হওয়া সাপ।
বিষধর সাপ ব্যাগে করে পাচার করার সময়ে হাওড়া স্টেশন থেকে দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করল সিআইডির স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি। ধৃতেদের নাম দেবাঞ্জন মিত্র ও গোপাল কৈপুত্তর। পুলিশ জানায়, দেবাঞ্জনের বাড়ি কলকাতার হিন্দুস্থান পার্কে ও গোপালের বাড়ি মধ্যমগ্রামের বাদুতে। সিআইডি সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন সর্প-বিশারদ দীপক মিত্রের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে এসওজি-র কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বাদু থেকে দুই ব্যক্তি ব্যাগে কিছু বিষধর সাপ নিয়ে কুম্ভ এক্সপ্রেসে লখনউ যাবেন। খবর পেয়েই সাদা পোশাকে সিআইডি-র গোয়েন্দা-সহ রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখার অফিসারেরা হাওড়া স্টেশনে এসে ওত পেতে থাকেন। কুম্ভ এক্সপ্রেসের সামনে থেকে তিনটি ব্যাগ সমেত দেবাঞ্জন ও গোপালকে আটক করেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগগুলির ভিতর থেকে ৩২টি সাপ উদ্ধার করা হয়। কী কারণে সাপগুলি লখনউ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা ধৃতেরা বলতে না পারায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় ধরা হয় তাঁদের। এর পরে সিআইডি-র পক্ষ থেকে হাওড়ার আঞ্চলিক বনাধিকারিকের হেফাজতে সাপগুলি দেওয়া হয়।
পরে হাওড়ার ডিএফও নিরঞ্জিতা মিত্র বলেন, ‘‘তিনটি ব্যাগ থেকে কেউটে, গোখরো, কালাজ, চন্দ্রবোড়া সাপ মিলেছে। কেন সাপগুলি পাচার করা হচ্ছিল, তার তদন্ত হচ্ছে।’’ জেলা বন দফতর সূত্রে খবর, সাপগুলি সল্টলেকের রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখায় পাঠানো হচ্ছে। এ দিকে দীপক মিত্র এই খবর শুনে স্তম্ভিত। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি এই প্রথম শুনলাম। ও বাদুতে থাকাকালীন সাপের বিষয়ে কিছু জিনিস শিখেছিল। কিন্তু এমন ঘটবে ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy