আধুনিক: চায়ের দোকানে সৌর প্যানেল। শনিবার, ময়দানে। ছবি: সুমন বল্লভ
মেশিন চালাতে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার শুরু করল কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি। শনিবার কারখানার পাঁচটি বা়ড়ির ছাদে সৌর প্যানেলের উদ্বোধন করেন কারখানার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রাজীব চক্রবর্তী। তিনি জানান, ১১৩০টি সৌর প্যানেল থেকে বছরে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ মিলবে। এতে বছরে প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা বাঁচবে।
কারখানা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কারখানায় সৌরশক্তিচালিত এলইডি বাল্ব ও টিউব ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষে সব আলোই এলইডি-তে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলেও কয়েক লক্ষ টাকা বাঁচবে।
এই অস্ত্র কারখানাটি দুশো বছরের পুরনো। ১৮০১ সালে ফরাসিদের কাছ থেকে কাশীপুর গ্রাম কিনে শুরু হয় কারখানা গড়ার কাজ। ১৮৩০ সালে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে অস্ত্র কারখানা পুরোপুরি সরে আসে কাশীপুরে। নানা চড়াই-উতরাই বেয়ে ১৯০৫ সালে নাম হয় ‘গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি’।
এ দিন কারখানার ভিতরে থাকা শতাব্দীপ্রাচীন একটি ঘড়িস্তম্ভকে নব কলেবরে উদ্বোধন করা হয়। অ্যাংলো-সুইস সংস্থার তৈরি ওই ঘড়িটি কয়েক বছর আগে থেমে গিয়েছিল। হেলে গিয়েছিল স্তম্ভও। পুরনো রূপ বজায় রেখেই ফের সোজা করা হয়েছে সেটিকে। সারিয়ে তোলা হয়েছে ঘড়িটিও।
কারখানার কর্তারা বলছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতেই অপ্রচলিত শক্তির দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় ইতিমধ্যে নিকাশি শোধন যন্ত্র বসিয়েছেন তাঁরা। অস্ত্র সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও অ্যাসিড মিশ্রিত জল শোধন করে তবে গঙ্গায় ফেলা হয়। এ ব্যাপারে তথ্য নিয়মিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানানো হয়। কারখানা এবং কর্মী-অফিসারদের আবাসন চত্বরে নিয়মিত গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয় বলেও গান অ্যান্ড শেল কর্তারা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy