Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষককে ‘প্রহার’, গ্রেফতার ছাত্রের বাবা

একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার সকালে সল্টলেক থেকে এক ছাত্রের বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম স্বপন বেজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৯
Share: Save:

একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার সকালে সল্টলেক থেকে এক ছাত্রের বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম স্বপন বেজ।

পুলিশ জানিয়েছে, এফ সি ব্লকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান সুরজিৎ দাস। সেই ব্লকে নিজের বাড়িতেই তিনি ওই কোচিং সেন্টারটি চালান। সল্টলেকের একটি আবাসনের বাসিন্দা সরকারি কর্মচারী স্বপন বেজ সম্প্রতি তাঁর ছেলেকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করান।

পুলিশের দাবি, প্রহৃত শিক্ষক অভিযোগে জানিয়েছেন, স্বপনবাবু তাঁর ছেলেকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানোর কিছু দিন পরে তাকে আর পড়াবেন না বলে জানিয়ে দেন সুরজিৎবাবু। শিক্ষকের দাবি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার মতো পর্যাপ্ত মেধা নেই সেই ছাত্রের। এর পরেই স্বপনবাবু নিজের ছেলেকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তির সময়ে যে টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা ফেরত চান। অভিযোগ, যেহেতু দু’দিন ওই ছাত্রকে পড়ানো হয়েছে, তাই সেই হিসেবে সুরজিৎবাবু কিছু টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দেন স্বপনবাবুকে। কিন্তু স্বপনবাবু পুরো টাকাটাই ফেরত চান। তাই নিয়ে শুরু হয় বচসা।

সুরজিৎবাবুর অভিযোগ, রবিবার বচসা চলাকালীন স্বপনবাবু একটি চেয়ার তুলে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। আচমকা ওই হামলায় সুরজিৎবাবুর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে। এ দিকে গোলমালের জেরে এফ সি ব্লকের ওই বাড়িতে ভিড় জমে যায়। বাড়ে উত্তেজনাও। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন।

খবর পেয়ে যায় সল্টলেক দক্ষিণ থানার পুলিশ। স্বপনবাবুকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বপনবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁর জবাবে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার সময়ে স্বপনবাবু পাল্টা দাবি করে জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক প্রথম থেকেই তাঁর ছেলেকে মারধর ও বকাঝকা করেছিলেন। ছেলে ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে চাইছিল না। তবুও তিনি রবিবার তাঁর ছেলেকে কোচিং সেন্টারে পাঠিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সে দিন তিনিও ছেলের সঙ্গে কোচিং সেন্টারে যান। তবে স্বপনবাবু বাড়ির বাইরেই ছিলেন।

আরও পড়ুন:

সাম্প্রদায়িক বৈষম্য হয়নি, মেরুকরণ নিয়ে মোদীকে পাল্টা তোপ অখিলেশের

অভিযোগ, এ দিনও ছেলে কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন স্বপনবাবু বাড়ির ভিতরে যান। ওই ছাত্রকে পড়াতে অস্বীকার করেন সুরজিৎবাবু। স্বপনবাবুর অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে বচসা চলাকালীন ওই শিক্ষক ধাক্কা দেন তাঁকে। পাল্টা ধাক্কা দেন স্বপনবাবুও। সামলাতে না পেরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে যায় সুরজিৎবাবুর। তাতেই তাঁর মাথা ফেটে যায়। পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষক ধৃতের বিরুদ্ধে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, সুরজিৎবাবুর বিরুদ্ধে আগেও ছাত্রদের মারধরের কথা শোনা গিয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে ওই শিক্ষকেরও ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student's father Arrest Assault Case teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE