বড় বড় পুজো মণ্ডপের কাছে অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র গড়ে তুলবে দমকল দফতর। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত পরিস্থিতি সামলাতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জনিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। পুজোর আগে মণ্ডপগুলিতে কী কী সতর্কতা নিতে হবে, দমকল দফতরই বা কী করবে সেই বিষয়গুলি জানাতে সোমবার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী জাভেদ খান। উপস্থিত ছিলেন দমকল দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ও।
মন্ত্রী আরও জানান, এ বছর এখনও পর্যন্ত শহরের ১৭৮০টি পুজো কমিটি দমকলের ছাড়পত্র নিয়েছে। ওই সব পুজোর উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছে, মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপণের সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখতে হবে। আগুন রুখতে কী করা উচিত এবং কী নয়, তা জানিয়ে মণ্ডপগুলিতে বিজ্ঞাপন (ফ্লেক্স) লাগাবে দমকল দফতর। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার মাপকাঠিতে পুরস্কৃত করা হবে শ্রেষ্ঠ পুজো কমিটিকে।
কিন্তু দমকলের ছাড়পত্র নেয়নি শহরের যে সব পুজো কমিটি, তাদের বিরুদ্ধে কী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
ডিজি সঞ্জয়বাবু বলেন, “দমকল দফতরের অফিসারেরা শহর জুড়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরছেন। যে সব পুজো কমিটি অগ্নিবিধি মেনে চলবে না, তাদের নোটিস পাঠানো হবে। তাতেও কাজ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্ত্রী জাভেদ খান জানান, অগ্নিবিধি মেনে চলার কথা প্রচার করতে আগামী কয়েক দিন শহর জুড়ে ট্যাবলো ঘুরবে। সেই গাড়িতে থাকবে গান ও নাটকের দল। তাঁরা গান-নাটকের মাধ্যমেই সচেতন করবেন মানুষকে। এ ছাড়া, পুজোর ক’দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরবে দমকলের বাইকবাহিনী। অগ্নি সংক্রান্ত কোথাও কোনও অঘটন ঘটলেই তাঁরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবেন। মন্ত্রী আরও জানান, পুজোর সময়ে দমকলকর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। সকলেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy