—ফাইল চিত্র।
শহরের হকারদের জন্য আইন তৈরি করে ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ গড়তে ১২ সপ্তাহের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ওই কমিটি গড়ে হকারদের নির্দিষ্ট বসার জায়গা, পুনর্বাসন ও তাঁদের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করতে হবে রাজ্যকে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে পুর কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, শহরের হকারদের নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে ‘হকার সংগ্রাম কমিটি’।
সংগঠনের আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভনীল চক্রবর্তী জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়, হকারদের নথিভুক্ত করার ক্ষমতা পুর কর্তৃপক্ষের নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় সরকার আইন তৈরি করে ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ গড়ার কথা বলেছে। হকার সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ওই কমিটির হাতে। আইনজীবীরা জানান, কলকাতা পুরসভার কমিশনার ছাড়াও ওই কমিটিতে থাকার কথা রাজ্যের পুর দফতর, কলকাতা পুলিশ এবং হকারদের প্রতিনিধিদের।
কেন্দ্রীয় আইনে বলা রয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার শহরের হকারদের জন্য নিজস্ব আইন তৈরি করে নেবে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য তার নিজের আইন তৈরি করুক। ইতিমধ্যে একাধিক বার মামলার শুনানি হয়েছে। রাজ্য আইন তৈরির জন্য বারবারই ডিভিশন বেঞ্চের কাছে সময় চেয়েছে বলে আইনজীবীদের দাবি। আইনজীবীদের অভিযোগ, দু’বছর ধরেও রাজ্য সরকার আইন
তৈরি করে উঠতে পারেনি।
এ দিন মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চে পুরসভার আইনজীবী অলোক ঘোষ জানান, রাজ্য ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ না গড়লে পুর কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। তবে, পুর কর্তৃপক্ষ হকারদের নথিভুক্তকরণের কাজ বন্ধ রেখেছেন। ডিভিশন বেঞ্চ এজি-র কাছে জানতে চায়, আইন তৈরির কাজ কত দূর এগিয়েছে। এজি জানান, আইন এখনও তৈরি হয়নি।
এজি-র কথা শুনে ডিভিশন জানিয়ে দেয়, ১২ সপ্তাহের মধ্যে আইন তৈরি করে হকার সংক্রান্ত সব প্রকল্পের রূপরেখা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy