Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর আগাম হদিস

নাগেরবাজার বারোয়ারিতলা: শতবর্ষের প্রাক্কালে আমাদের ভাবনায় ‘কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ’। মণ্ডপে থাকবে বিশাল আকৃতির হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি পুতুলের সজ্জা। বিশেষ আলো ও শব্দের রূপায়ণ করছেন প্রদীপ মিত্র। কৃষ্ণনগরের প্রতিমা এ বার পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ।

দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৯
Share: Save:

নাগেরবাজার বারোয়ারিতলা: শতবর্ষের প্রাক্কালে আমাদের ভাবনায় ‘কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ’। মণ্ডপে থাকবে বিশাল আকৃতির হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি পুতুলের সজ্জা। বিশেষ আলো ও শব্দের রূপায়ণ করছেন প্রদীপ মিত্র। কৃষ্ণনগরের প্রতিমা এ বার পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ।

লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ: হিমশীতল পাহাড়ের শিখরকে এখানে শান্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। সেখানেই দেবী শান্তিরূপে সমাস্থিতা। আধ্যাত্মিক পরিবেশে দেবীর বোধন। মণ্ডপ সাজছে তুলো, গাছের ডাল, বাঁশ, ফাইবার দিয়ে।

পূর্ব সিঁথি প্লেস দুর্গাপুজো: আমাদের পুজোর এ বার ৫৭ বছর। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে প্যাগোডার আদলে। ভিতরে থাকছে হোগলা পাতার কাজ। মণ্ডপের বাইরে বাঁশের নানা কারুকাজ সকলের নজর কাড়বে। শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল তৈরি করেছেন সাবেক প্রতিমা। থাকছে চন্দননগরের আলো।

বিধান সরণি অ্যাটলাস ক্লাব: এ বারের থিম, মায়া মহেশ্বরী। নাগা সাধুদের জীবনযাত্রা শিল্পের মাধ্যমে মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলবেন রাজদীপ নন্দী। প্রতিমা করছেন তরুণ পাল।

শোভাবাজার সর্বজনীন: ৪৬ তম বর্ষের পুজোয় প্রতিমাশিল্পী নব পাল প্রথম থিমের কাজে আত্মপ্রকাশ করছেন। পিতলের প্রসাদী থালা, গ্লাস, কোষাকুষি, কাগজের কদম, লাল শালু দিয়ে হচ্ছে মণ্ডপের অন্দরসজ্জা। পাইন কাঠ ও অ্যালুমিনিয়াম খোদাই করে মূর্তিও থাকছে। একচালা পিতল রঙের প্রতিমায় মূল্যবান পাথর বসানো থাকবে। গুণ সূচ দিয়ে হচ্ছে ঝাড়বাতি।

লালাবাগান নবাঙ্কুর: ওড়িশার রঘুরাজপুরের মন্দিরের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। ভিতরে থাকছে ‘পাটা শিল্প’। তালপাতার পাখা, কাঠ, রঙিন কাপড় ও অ্যাপ্লিকের কাজে সাজবে মণ্ডপ। শিল্পী প্রশান্ত পালের প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে এনে দেবে প্রশান্তির ছোঁয়া।

৩৩ পল্লি: এ বছর আমাদের ভাবনা ‘নস্ট্যালজিয়া’। শিবশঙ্কর দাসের ভাবনায় মণ্ডপ সাজছে হলুদ ট্যাক্সির বিভিন্ন অংশ দিয়ে। আলোকসজ্জাতেও থাকছে ট্যাক্সির আলোর ব্যবহার।

কাঁকুড়গাছি মিতালি: ৮০ তম বর্ষের এই পুজো। উপাসনা গৃহের আদলে মণ্ডপ। কোষাকুষি, ঘট, কলসি, ঘণ্টা দিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছেন সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অরুণ পালের তৈরি সাবেক প্রতিমা ধ্যানমগ্ন।

৩৭-এর পল্লি সর্বজনীন: ট্রাক শিল্পকে তুলে ধরছি আমরা। পেন্টিং, ক্যালিগ্রাফি, সুতোর কাজ ও নানা অলঙ্করণে সেজে উঠছে মণ্ডপ। থাকছে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বার্তাও। শিল্পী কালাচাঁদ রুদ্র পালের তৈরি প্রতিমা অন্য রূপে ধরা দেবে।

উমেশ স্মৃতি সঙ্ঘ: আমাদের এ বছরের ভাবনা ‘সৃষ্টির আবির্ভাবে শান্তির বার্তা/ দুষ্টের দমনে দশহাতে দশভুজা’। এই দুর্যোগের দিনে একমাত্র দেবী দুর্গাই পারেন সমাজে শান্তির বার্তা এনে দিতে। এই ভাবনা থেকেই মণ্ডপ সেজে উঠেছে শোলার বিভিন্ন দেবদেবীর মডেলে। থাকছে নানা ইনস্টলেশনের কাজও।

পঞ্চশীল বাটিকা (বিরাটি): এ বছরই আমাদের প্রথম পুজো। সকলে হাতে হাত মিলিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোগ রান্নায় মাতিয়ে রাখবে পুজোর কয়েকটা দিন। এ ছাড়া শিল্পী তারক পালের ডাকের সাজে প্রতিমা নজর কাড়বে সকলের।

সল্টলেক

এ এ ব্লক: থিম জগন্নাথদেবের নব কলেবর। পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। সেই অনুসারে প্রতিমার অলঙ্করণ।

ই সি ব্লক: রাজস্থানের জালোর জেলার প্রাচীন মন্দিরের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। সামঞ্জস্য রেখে হচ্ছে প্রতিমা। যা অনেকটা দেখতে ব্রোঞ্জের মূর্তির মতো।

আই বি ব্লক: ঐতিহ্য আর আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির মিশেলে থিম ‘ত্রিনয়ন’। সেই ভাবনায় সাজছে মণ্ডপ। প্রতিমা ধরা দেবে সাবেক রূপেই।

এ এল ব্লক: ওড়িশার ধবলগিরি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। নীল রঙের ডাকের সাজের সাবেক প্রতিমা।

বি বি ব্লক: থিম ‘পুরনোকে ফিরে দেখা’। সেই ভাবনা থেকে প্লাই, বাঁশ, পাট, খড়, থার্মোকল দিয়ে পুরনো বাড়ির আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা সাবেক।

সি ডি ব্লক: আমাদের পুজো মূলত মহিলা পরিচালিত। ক্ষুদ্রশিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে থিম ‘বাঁশ থেকে বাঁশরী’। বাঁশের কাঠামো দিয়েই হচ্ছে মণ্ডপ। দেখা যাবে বাঁশের তৈরি নানা কারুকাজ।

ই ই ব্লক: বীরভূমের রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। আমাদের প্রতিমা হচ্ছে ডাকের সাজের।

উত্তর শহরতলি

মাইকেলনগর স্বামীজি পার্ক: স্থায়ী মণ্ডপে সাবেকি পুজো।

আমতলা সর্বজনীন: মণ্ডপ নেপালের বুদ্ধমন্দিরের আদলে। ডাকের সাজের প্রতিমা।

রথতলা সর্বজনীন: গুজরাতের অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ডাকের সাজের প্রতিমা।

কিশোর সঙ্ঘ: থিম ‘বিশ্ব রঙিন উৎসব’। বাঁশ এবং রং দিয়ে মণ্ডপসজ্জা। মানানসই প্রতিমা।

নিউব্যারাকপুর বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাব: থিম, জয়পুরের অ্যালবার্ট মিউজিয়াম। ভিতরে রাজস্থানী কাজ। রাজস্থানী অলঙ্কারে সজ্জিত মূর্তি।

পূর্বাচল ক্লাব: খড়, বাঁশ চট দিয়ে পাখিরালয়ের আদলে মণ্ডপ।

অগ্রদূত সঙ্ঘ: জালের কাঠি, প্রদীপ, চায়ের খুঁড়ি দিয়ে হচ্ছে কেরলের দুর্গামন্দিরের আদলে মণ্ডপ।

মধ্যমগ্রাম দেবীগড় সর্বজনীন: মাটির ভাঁড়, ঘট দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। মানানসই প্রতিমা।

উদয়রাজপুর নেতাজি সঙ্ঘ: থার্মোকল, কাঠের চামচ, চুমকি দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। সাবেকি প্রতিমা।

পেয়ারাবাগান সর্বজনীন: প্লাই, চট, দিয়ে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।

শ্রীনগর সর্বজনীন: নারীশক্তির নানা রূপ মণ্ডপে তুলে ধরা হবে। কুমারী পুজোও থাকছে।

হৃদয়পুর হরিহরপুর সর্বজনীন: এই পুজোর থিম, নারীশক্তির জাগরণ।

বারাসত চারের পল্লি: ফাইবারের তৈরি তাইল্যান্ডের প্যাগোডা। অসুর নেই। প্রতিমা পদ্মাসনে।

শেঠপুকুর সর্বজনীন: তালপাতার পাখা দিয়ে মন্দির। তালপাতার প্রতিমা।

সাউথ শেঠপুকুর সর্বজনীন: প্লাই ফাইবারের কেদারনাথের মন্দির।

কৈলাসনগর মৈত্রী সঙ্ঘ: বেড়া, বাঁশ, চাটাই দড়ি, ঝুড়ি দিয়ে মণ্ডপ। ফাইবারের প্রতিমা।

কল্যাণকৃত সঙ্ঘ: থিম কোনর্কের সূর্যমন্দির। সাবেকি প্রতিমা।

দক্ষিণেশ্বর ডোমেস্টিক এরিয়া সর্বজনীন: বিষ্ণুপুরের মন্দিরের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। টেরাকোটার পুতুল, ঘোড়ায় সাজানো হচ্ছে। প্রতিমা পোড়ামাটির।

আড়িয়াদহ প্রগতি সঙ্ঘ: ৭৭তম বর্ষে তুলে ধরছি ‘অতীতের ক্যানভাস’। মণ্ডপে দেখানো হচ্ছে একটি প্রাচীন রাজবাড়ি ভেঙে পড়েছে। তার দেওয়াল বেয়ে উঠেছে সবুজ বটগাছ, যেখানে স্বয়ং দেবী প্রতিভাত। শৈলেনচন্দ্র পালের মূর্তি সাবেক রাজবাড়ির প্রতিমার আদলে।

অমরাবতী কল্যাণ সমিতি: মণ্ডপের উপরের অংশে যামিনী রায়ের ছবির সম্ভার আর নীচে থাকছে পুরুলিয়ার গ্রামীণ চিত্র। ঝিনুকের গয়নায় সাজবেন দেবী ও পুত্র-কন্যারা।

সোদপুর ক্লাব: আমাদের এ বার ৮৫তম বছর। পুরনো বাড়ির আদলে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা।

ব্যারাকপুর শিবতলা বারোয়ারি: ১০৩ বছরের পুজোয় কেদারনাথের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা।

ব্যারাকপুর রায়বাগান সর্বজনীন: বাঁশ, ধানের শিস, পাটকাঠি দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। তুলে ধরা হবে দুর্গার ন’টি রূপ।

ব্যারাকপুর রয়্যাল পার্ক: তাইল্যান্ডের হোয়াইট টেম্পলের অনুকরণে অ্যালুমিনিয়াম জাল দিয়ে মণ্ডপ হয়েছে।

জোড়ামন্দির নির্ভীক সঙ্ঘ: থিম ‘রাজবাড়ি’। কাঠের তৈরি রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপের উপরে বসানো থাকবে আয়নার রেপ্লিকা।

সুভাষনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব পূজা কমিটি: ৬৯ তম বর্ষে আমাদের সাবেক পুজো। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে শিল্পীরা এসে মণ্ডপ করছেন। প্রতিমাও সাবেক।

হাওড়া

আলাপনী (সালকিয়া): ৬৯তম বর্ষে তৈরি হচ্ছে প্রাচীন এক প্রাসাদ। তার ভিতরে ও বাইরে থাকবে প্রাচীন চিত্রকলা, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের ছবি। সাবেক প্রতিমা।

শিবপুর নবারুণ সঙ্ঘ: পুজোর ৮৭ তম বর্ষ। ফিরে আসবে হারিয়ে যাওয়া সবুজ— এই ভাবনা থেকেই হচ্ছে এ বছরের মণ্ডপ।

শিবপুর সর্বজনীন: ধর্মদাস কুণ্ডু লেনের এই পুজোর এ বার ৮২ তম বর্ষ। সাবেক পুজোই আমাদের বৈশিষ্ট্য।

ব্যাঁটরা সম্মিলনী: মণ্ডপ সাজছে পটচিত্রে। থাকবে পৌরাণিক কাহিনি।

হালদারপাড়া ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন: ৫২তম শারদোৎসবে ‘আলোর পথযাত্রী’। ১৬ ফুটের প্রতিমা। থাকছে মানানসই আলোর ব্যবহার।

কল্যাণপল্লী সর্বজনীন: ৫৪তম বর্ষে থিম ‘নারী শক্তির উপকরণ’। মণ্ডপ সাজছে বাঁশ ও খড়ের বুনোনে। থাকছে শাঁখা, পলার মত উপকরণ যা মাতৃশক্তির প্রতীক।

সালকিয়া ছাত্র ব্যায়াম সমিতি: বলাগড় থেকে আনা নানা আকারের নৌকো দিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছেন সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়। জেলেদের টুপির আদলে হয়েছে মণ্ডপের চূড়া। দেখা যাবে জালে আটকানো মাছের মডেল।

পাগলা ফৌজ: থিম, ‘ব্যাঙের দেশ’। মণ্ডপ জুড়ে থাকবে থার্মোকলের বিভিন্ন আকারের ব্যাঙ, ব্যাঙের ছাতা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ প্রভৃতি।

সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাব: মণ্ডপে অজস্র রঙিন ছাতা দিয়ে তৈরি হবে নকশা। ৩৩তম বর্ষে আশ্রয়দাতা হিসেবে রং-বেরঙের ছাতা থাকছে।

হাওড়া সরস্বতী ক্লাব: প্রাকৃতিক তন্তু, নেনকেম ফেব্রিক, প্লাই, সানপ্যাক দিয়ে তৈরি হয়েছে অভিনব এক গাছ। মূল মণ্ডপের তিন দিক ঘেরা রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। খোলা মাঠে থাকছে লতাপাতা, ফুল, বেলপাতা, ত্রিশূলে তৈরি রোবট।

সালকিয়া তরুণ দল: ৭৯তম বর্ষে মণ্ডপ হচ্ছে স্বর্ণমন্দিরের আদলে। জীবন ভাস্করের তৈরি প্রতিমা সাবেক।

রামরাজাতলা যুবক বৃন্দ (শঙ্কর মঠ): মণ্ডপ হচ্ছে পাঠ, খড়, দড়ি, চট, দরমা, বাঁশ দিয়ে। বিলুপ্ত শিল্পকে ফুটিয়ে তুলতেই এই ভাবনা। প্রতিমা সাবেক।

সালকিয়া অগ্রদূত: থিম, ‘আদিতে আদ্যাশক্তি’। দেবাশিস গুছাইত জলকেই প্রাচীন যুগের শক্তি রূপে তুলে ধরেছেন মণ্ডপে। থাকবে জলের তলার সৌন্দর্য।

নেতাজি বালক সঙ্ঘ: এ বার আমাদের ভাবনায় ‘শিব’। মহাদেবের ১৬ রকম রূপের মডেল দেখা যাবে পাহাড়ের গুহায়। এর জন্য চট, থার্মোকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল পাহাড়। সেখানেই অধিষ্ঠান করবেন কৃষ্ণনগরের প্রতিমা।

রামকৃষ্ণপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব: আমাদের থিম বাংলার পটচিত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা গ্রামের ছেলেমেয়েদের তুলির টানে ফুটে উঠবে রামায়ণ, মহাভারত, মনসামঙ্গলের গল্প। থাকবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। চিত্রকর নূরউদ্দিনের ভাবনায় গোটা মণ্ডপ হয়ে উঠবে ‘চিত্রকরের পুজো’।

সম্মিলিত নাগরিকবৃন্দ: আধুনিক পৃথিবীতে দূষণ-দানব আমাদের সব থেকে বড় শত্রু। তাই এ বার আমাদের ভাবনা ‘পরিবেশ সচেতনতা।’ দূষণমুক্ত পৃথিবী যেমন হওয়া প্রয়োজন, সেই টলটলে পুকুরে পদ্ম, সবুজ ঘাসে পড়ে থাকা শিউলি ফুল আর মাঠ ভর্তি কাশফুল—সবই থাকছে।

কাসুন্দিয়া ইউনাইটেড ক্লাব: এ বার ৭২ বছরে পড়ল। ডোকরা শিল্পের ছোঁয়ায় তৈরি মণ্ডপের চারপাশে থাকছে সবুজের ছোঁয়া। গাছগাছালিতে ঘেরা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নয়নাভিরাম দৃশ্য ঘেরা মণ্ডপে থাকবে পিতলের মডেল।

বাগবাদিনী ব্যায়াম সমিতি: ব্রাজিলের লোকনৃত্য হল সাম্বা। আমাদের মণ্ডপে সাম্বা নাচে ব্যবহৃত মুখোশ ও অন্যান্য সাজসজ্জা তুলে ধরা হবে। সঙ্গে থাকবে লোকশিল্পও। মণ্ডপে ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাইউড, ফাইবার, কাগজের মণ্ড। প্রতিমা সাবেক। থাকছে চন্দনগরের আলোকসজ্জা।

ঘোষপাড়া সংকল্প সঙ্ঘ: ৫৪তম বছরে থিম ‘মহালোকে স্বর্গদ্বার’। ভিতরে থাকছে বহুবর্ণে মুদ্রিত বৃক্ষ-গুল্মের পটভূমিতে দেবদেবীর মুখোশ ও মূর্তি।

বালি বাদামতলা সর্বজনীন: ৫৯তম বর্ষে আমাদের থিম ‘গ্রামবাংলা’। মাদুর, খড়, হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কুঁড়েঘর। ভিতরে থাকবে মিন্টু পালের তৈরি সাবেক প্রতিমা। মূল মণ্ডপের আশপাশেও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে গ্রামের ছবি। পুজোকে কেন্দ্র করে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বালি দেশবন্ধু ক্লাব: ৭০তম বর্ষে তৈরি হচ্ছে মহীশূর প্রাসাদ। ভিতরে ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে গোটা এলাকায় থাকবে আলোর কারসাজি। থাকছে মোহন বাঁশি রুদ্রপালের তৈরি সাবেক প্রতিমা।

বালিটিকুরী নেতাজি বালক সঙ্ঘ: এ বারের পুজো মহিলা পরিচালিত। থিম পুরাণের সমুদ্র মন্থন ও অমৃতকলস নিয়ে দেব ও অসুরের দ্বন্দ্ব। তাই ফুটিয়ে তোলা হবে।বেশদ্বারে থাকছে আট ফুট শিবের মূর্তি। গর্ভগৃহ সাজানো হচ্ছে দেবী দুর্গা-সহ বিভিন্ন মূর্তি দিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE