রোদ থেকে বাঁচতে। শহরের পথে। নিজস্ব চিত্র
নিজের ছন্দে ফিরছে চৈত্র মাস!
এ বছর চৈত্রের শুরু হয়েছিল বৃষ্টি আর মোলায়েম আবহাওয়া দিয়ে। রোদ যেন গায়েই লাগছিল না। সেই মেঘ-বৃষ্টির পালা শেষ হতেই ক্রমশ চড়ছে মহানগরের পারদ। শনিবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার জন্য অস্বস্তিও মালুম হয়েছে শহরবাসীর। পথেঘাটে বেরিয়ে ঘামের জেরে নাকাল হয়েছেন অনেকেই। রাতে আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টির স্বস্তি মেলেনি।
চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই মালুম হচ্ছিল রোদের তেজ। তার সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়তেই শুরু হয় অস্বস্তি। রাতে পাখা চালিয়েও অস্বস্তি পুরোপুরি কাটছিল না। কলকাতার নিরিখে ৩৫.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কিছুই নয়। ফি-বছরই এর চেয়ে ঢের বেশি গরম সহ্য করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শহরবাসীর। তবু এ দিন সকাল থেকে অস্বস্তি বাড়তেই ‘হাহাকার’ শুরু হয়েছে ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপে। গরমের জ্বালায় কেউ কেউ ‘বরুণদেবের’ কাছে স্বস্তির আশীর্বাদও চেয়েছেন।
হাওয়া অফিস কিন্তু কোনও আশীর্বাদের কথা শোনাতে পারছে না। তাদের পূর্বাভাস, আজ, রবিবারও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে। বাতাসে আর্দ্রতার জন্য ভ্যাপসা গরমও সইতে হবে নগরবাসীকে। বৃষ্টির তেমন কোনও নির্দিষ্ট পূর্বাভাসও সে ভাবে মিলছে না।
আবহবিদেরা বলছেন, এ বছরের মার্চে মহানগরে কিন্তু অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি বৃষ্টি দিয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি ছিল। সাগর থেকে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই দিন তিনেক জোরালো বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এখন তেমন পরিস্থিতি নেই। ফলে গরমের অস্বস্তি পোহাতে হবে বাসিন্দাদের।
তবে কেউ কেউ আশা ছা়ড়তে একেবারেই নারাজ। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে গরম যেমন থাকে, তেমনই বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পও থাকে। ফলে আচমকা বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে কালবৈশাখীর আগমন অসম্ভব নয়।
সেই মেঘের আশাতেই এখন বুক বাঁধছে কলকাতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy