Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

টাকা না আসায় অমিল ওষুধও

স্বাস্থ্য ভবন থেকে সময় মতো টাকা আসছে না। তাই ওষুধপত্র কেনা এবং পিপিপি মডেলে গাঁটছড়া বাঁধা ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলির বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কলকাতার একাধিক মেডিক্যাল কলেজ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা:
শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০২:০১
Share: Save:

স্বাস্থ্য ভবন থেকে সময় মতো টাকা আসছে না। তাই ওষুধপত্র কেনা এবং পিপিপি মডেলে গাঁটছড়া বাঁধা ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলির বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কলকাতার একাধিক মেডিক্যাল কলেজ। নীলরতন, মেডিক্যাল, ন্যাশনাল— সর্বত্র একই অবস্থা। আর জি কর কর্তৃপক্ষ আবার জানিয়েছেন, ওষুধ কেনার জন্য স্টেট বাজেটের টাকা শেষ হতে বসেছিল। মঙ্গলবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা (আরএসবিওয়াই) বা রোগী কল্যাণ সমিতি (আরকেএস) থেকে টাকা নিয়ে এর পর ওষুধ কিনতে হবে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন থেকে টাকা আসায় তা আর করতে হয়নি। ন্যাশনাল বা নীলরতনে অবশ্য সমস্যা এখনও মেটেনি।

নীলরতনের এক কর্তা জানান, প্রতি মাসে ২ কোটি টাকারও বেশি ওষুধ কেনা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন থেকে টাকা না আসায় এপ্রিল মাসে কেনা ওষুধের দাম মেটানো যায়নি। শেষ বার টাকা এসেছিল এপ্রিল মাসে, দেড় কোটির মতো। হাসপাতালের আরএসবিওয়াই তহবিল ও আরকেএস তহবিলও প্রায় শেষ। এ দিকে স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, নেগেটিভ ব্যালেন্সে কোনও বিল করা যাবে না। এই রকম অবস্থায় কী ভাবে রোগীদের ওষুধের জোগান দেবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। একটি বেসরকারি ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের সঙ্গে পিপিপি মডেলে তাঁদের চুক্তি রয়েছে। হাসপাতালে যে পরীক্ষাগুলি হয় না, সেগুলি রোগীরা নিখরচায় ওই সেন্টার থেকে করাতে পারেন। পরে টাকা মিটিয়ে দেয় হাসপাতাল। সেখানেও কয়েক কোটি টাকা বাকি পড়েছে।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষও জানান, জননী শিশু সুরক্ষা যোজনায় পরীক্ষার জন্য যে টাকা পাঠানো হয় তা আসেনি। আবার রোগীদের শারীরিক পরীক্ষা খাতে যে টাকা আসে আসেনি তা-ও। ফলে হাসপাতালের সঙ্গে যে ডায়গনস্টিক সেন্টারের চুক্তি রয়েছে তাদের প্রায় ৯ লক্ষ টাকা বাকি পড়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা পাল্টা জানিয়েছেন, টাকার কোনও অভাব নেই। সময় মতো যারা অ্যালটমেন্ট দেয়নি তারাই সমস্যায় পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medicine Health Department of West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE