Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
State news

আলিপুর সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে চম্পট দিল তিন বন্দি

রবিবার ভোরে বন্দিদের গোনার সময়ই রক্ষীদের নজরে পড়ে বিষয়টি। দেখা যায়, গুনতিতে তিন জন বন্দি কম। এর পরই তল্লাশি শুরু হয়। দেখা যায়, আদি গঙ্গার দিকের উঁচু পাঁচিলে চাদর ঝুলছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:০৮
Share: Save:

বছর তিনেকের মধ্যে দ্বিতীয় বার। রক্ষীদের নজর এড়িয়ে পাঁচিল টপকে আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ফের পালালো তিন বন্দি। একই কায়দায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ফেরার তিন বন্দিই বাংলাদেশি। তারা হল ফারুখ হাওলাদার, ইমন চৌধুরী এবং ফিরদৌস শেখ। তারা যথাক্রমে ডাকাতি, অপহরণ এবং বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনায় অভিযুক্ত।

জেল সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে বন্দিদের গোনার সময়ই রক্ষীদের নজরে পড়ে বিষয়টি। দেখা যায়, গুনতিতে তিন জন বন্দি কম। এর পরই তল্লাশি শুরু হয়। দেখা যায়, আদি গঙ্গার দিকের উঁচু পাঁচিলে চাদর ঝুলছে।

রক্ষীদের অনুমান, কয়েকটি চাদর পরপর জোড়া লাগিয়ে দড়ি হিসাবে ব্যবহার করে বন্দিরা। তারপর সেই দড়ি বেয়ে পাঁচিল টপকে চম্পট দেয় তারা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বন্দির সন্ধান পাওয়া যায়নি। জেলের ভিতরের এবং রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরণ যে হবে, আঁচ পাননি গোয়েন্দারা

জেল সূত্রে খবর, পাঁচিলের যে অংশটি বন্দিরা পালাবার জন্য ব্যবহার করেছে, সেটির পাশেই ৬ নম্বর ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। এত উঁচু পাঁচিল বেয়ে তা টপকানো অনেকটাই সময় সাপেক্ষ। নিমেষে এই কাজ করা অসম্ভব। তা সত্ত্বেও ওয়াচ টাওয়ারে কর্মরত রক্ষীর নজরে কেন তা পড়ল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ফিরদৌস শেখ, ইমন চৌধুরী এবং ফারুখ হাওলাদার। সংশোধনাগার থেকে পলাতক তিন বন্দি। —নিজস্ব চিত্র।

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে আলিপুর সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়েও। ২০১৪ সালেও একই কায়দায় পাঁচিল টপকে তিন বন্দি পালিয়েছিল। পরে যদিও তাদের পাকড়াও করেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই ঘটনার পর তুমুল হইচই হলেও আদপে যে নিরাপত্তার ফাঁকটুকু একই রয়ে গিয়েছে, তা ফের প্রমাণ হল। কারা কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE