Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গ্রেফতার শাটার গ্যাংয়ের তিন চাঁই

পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্যাং-এর তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাং-এর মূল পান্ডা উমেশ যাদবও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৮
Share: Save:

শহরে তাদের আসা যাওয়া লেগেই ছিল। খালি হাতে এসে, সুযোগ মতো শহরের বিভিন্ন মোবাইলের দোকান সাফ করে ফিরে যেত তারা। এরা ভিন্‌ রাজ্যের ‘শাটার গ্যাং’-এর সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্যাং-এর তিন সদস্যকে ধরার পরে এই তথ্য সামনে এসেছে। এরা মূলত বিহারের মোতিহারি থেকে ট্রেনে করে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছত। কোনও হোটেলে না থেকে দল বেঁধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ‘টার্গেট’ ঠিক করত ওই দুষ্কৃতীরা। এর পরেই রাতের অন্ধকারে মোবাইলের দোকানের শাটার বেঁকিয়ে ঢুকে দোকান চুরি করত অভিযুক্তেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্যাং-এর তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাং-এর মূল পান্ডা উমেশ যাদবও। মোতিহারি থেকে ওই দুষ্কৃতীকে প্রথম গ্রেফতার করেন চুরি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের নাম রামপূজন সিংহ এবং যাদব। তারা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। তবে লুঠের মোবাইলগুলি উদ্ধার হয়নি। ওই চক্রটি শহরের পাঁচটি জায়গায় শাটার ভেঙে মোবাইল চুরি করেছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, গত কয়েক মাসে বটতলা, যাদবপুর, ঠাকুরপুকুর এবং কড়েয়াতে পরপর বড় মোবাইলের দোকানে শাটার ভেঙে চুরি হয়েছে। দোকানের সিসি ক্যামেরা ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকার মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। একই কায়দায় চুরি দেখে গোয়েন্দারা অনুমান করেছিলেন, একই শাটার গ্যাং লুঠের পিছনে রয়েছে। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন বিহারের ওই গ্যাং-এর কথা। লুঠের পরে বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে শনাক্ত করা হয় ওই দুষ্কৃতীদের।

পুলিশ জানায়, শহরে ওই গ্যাং-এর সাত থেকে আট সদস্য সক্রিয় ছিল। প্রত্যেকেই উত্তর বিহারের বাসিন্দা। লালবাজার জানিয়েছে, গভীর রাতে ওই দুষ্কৃতীরা দোকানে হানা দিত। দু’-তিন জন ভিতরে ঢুকত।
বাকিরা বাইরে থাকত। কাজ হয়ে গেলে তারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছত। সেখান থেকে প্রথমে কলকাতার বাইরে এবং সেখান থেকে মোতিহারি হয়ে নেপালে চলে যেত তারা। কিছু দিন পরে ফের কলকাতায় এসে লুঠপাট চালাত। কিন্তু বারে বারে আসা যাওয়াই তাদের কাল হল বলে দাবি পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE