প্রতীকী চিত্র
এক থানা থেকে অন্যত্র বদলি হয়েছিলেন এক তদন্তকারী অফিসার। কিন্তু পুরনো থানার মামলার জন্য আদালতে সেই অফিসারকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। তিনি হাজির না হওয়ায় বিচারক ওই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের সঙ্গে। যদিও অভিযোগ, কয়েক বছরের পুরনো ওই মামলার তারিখ তদন্তকারী অফিসারকে জানাননি কেউ। এই সমন্বয়ের অভাবের জন্যই আদালতের নির্দেশ মানতে পারেননি ওই অফিসার।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ বার মামলা সংক্রান্ত সমন্বয়ের অভাব দূর করতে প্রতি থানায় এক জন করে ট্রায়াল মনিটরিং অফিসার বা নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই লালবাজারের তরফে ৮০টি থানার কাছে নোডাল অফিসার বেছে নেওয়ার নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি থানা সে কাজ করেছে বলে সূত্রের খবর। মূলত থানার অফিসারদের এক জনকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁর কাজ হবে, থানায় দায়ের হওয়া নতুন ও পুরনো মামলার নথি সংরক্ষণের পাশাপাশি আদালতের তারিখের দিকে নজর রাখা। যাতে তদন্তকারী অফিসার বদলি হয়ে গেলেও তিনি জানতে পারেন মামলাটির দিনক্ষণ। এ ছাড়াও কোন মামলা কী অবস্থায় রয়েছে, সে দিকে নজর রাখার দায়িত্বও ওই অফিসারের।
লালবাজার সূত্রের খবর, থানার সাব ইনস্পেক্টরেরাই মূলত তদন্তকারী অফিসার হন। চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে অনেক অফিসারই বদলি হয়ে যান। কিন্তু মামলার নথি-সহ গুরত্বপূর্ণ জিনিস পুরনো থানায় থেকে যায়। আদালতে চলা মামলা সংক্রান্ত সবই সংশ্লিষ্ট থানায় জমা পড়ে। লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘এ বার থেকে মামলা সংক্রান্ত আদালতের যে কোনও নির্দেশ থানায় এলে, নোডাল অফিসার তা সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়ে দেবেন, এটা তাঁর দায়িত্ব। ফলে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেবে না আর।’’ এমনকী কোনও মামলা নিয়ে তথ্যের প্রয়োজন হলে শীর্ষকর্তারা সংশ্লিষ্ট থানার নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানতে পারবেন। এ জন্য মামলার তদন্তকারী অফিসারকে খুঁজে বার করতে হবে না। সিআইডি অবশ্য এক ধাপ এগিয়ে মামলা সংক্রান্ত নথি রাখতে ট্রায়াল মনিটরিং ফাইল তৈরি করেছে। যেখানে আঙুলের ছোঁয়ায় সব মামলার বিস্তারিত নথি সিআইডির যে কোনও অফিসার জানতে পারছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy