সহাবস্থান: পরীক্ষার সময়েই বিক্ষোভ-স্লোগান। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
প্রয়োজনীয় উপস্থিতি নেই। তা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।
এই দাবিতে মঙ্গলবার ঘণ্টাখানেক বিভাগীয় প্রধানের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রায় ৯০ পড়ুয়া। টেবিল-চেয়ার দিয়ে ফ্লোর ঘিরে রেখে, কোল্যাপসিব্ল গেট বন্ধ করে নাগাড়ে চলল স্লোগান। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পরীক্ষা চলাকালীনই উর্দু স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ৭০ জন পরীক্ষার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
ঘটনায় স্তম্ভিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ অন্য এক কর্তা বলেন, ‘‘বাংলা বিভাগের পড়ুয়ারা অন্যায় করেছে।’’
ঠিক কী নিয়ে গোলমাল?
বাংলা বিভাগ সূত্রের খবর, ওই বিভাগের দু’টি সেমেস্টারে ৭৮৬ জন পড়ুয়া। কিন্তু তার মধ্যে ২৩২ জনের ন্যূনতম ৫৫% উপস্থিতি নেই। তাই তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেননি কর্তৃপক্ষ। তখন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সে সময়ে উপাচার্য জানিয়েছিলেন, ওই ২৩২ জন পড়ুয়াদের ৫০টি বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে। যাঁদের ৫৫%-র কম উপস্থিতি রয়েছে, তাঁরা সহজেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
বাংলা বিভাগের এক শিক্ষক জানান, সেই বিশেষ ক্লাসের সময়ে দেখা যায় প্রায় ৯০ জন পড়ুয়ার উপস্থিতির হার এতই কম যে তাঁরা ওই ক্লাস করেও ৫৫% উপস্থিতির ধারে-কাছে পৌঁছতে পারেননি। তা সত্ত্বেও তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, সকলকেই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।
রচনা মজুমদার, শতরূপা মৈত্র, রবীন দাস-সহ একাধিক পড়ুয়ার অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কথার খেলাপ করছেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সকলকেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। যদিও বাংলা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, তেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। উপাচার্য বলেন, ‘‘এটা বিভাগের বিষয়। তাঁরা আগে সিদ্ধান্ত নিন।’’ বাংলা বিভাগের প্রধান সনৎ নস্কর বলেন, ‘‘বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’ এর পরে বিকেল ৫টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy