আনন্দবাজার: বুধবার শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় উপাচার্য হিসেবে মুখ বন্ধ রাখলেন কেন?
সুরঞ্জন দাস: আমি মুখ বন্ধ করে থাকিনি। বলেছিলাম, টিভিতে সবাই যা দেখার দেখেছেন। শিক্ষামন্ত্রীকে রিপোর্ট দেওয়ার আগে আর কি কিছু বলতে পারতাম?
এখন তা হলে বুধবারের ঘটনা নিয়ে কী বলবেন?
বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। দুর্ভাগ্যজনক। কলঙ্কজনক। আমি স্পষ্ট করে বলছি, যা হয়েছে তা হওয়া উচিত ছিল না।
এমন ঘটনা কি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানে কাম্য?
এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার চেষ্টা করব।
শিক্ষামন্ত্রীকে কী বললেন?
আমি আমার কথা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে যে যুক্তমঞ্চ তৈরি হয়েছে, তাদের দাবিদাওয়া কী, তা মন্ত্রীকে জানিয়েছি।
মন্ত্রী কী বললেন?
উনিও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আজ, শুক্রবার তিনি যুক্তমঞ্চের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার কি আপনাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল?
কেউ আমাকে ইচ্ছে করে মেরেছে, এমন আমি বিশ্বাস করি না। ওখানে দু’টি বিবদমান গোষ্ঠী ছিল। আমি দু’দুবার ওদের থামাতে যাই। তাদের মাঝখানে পড়ে গিয়েছিলাম। ধাক্কা লেগেছে তখন।
কে আপনাকে ধাক্কা মারল?
কে করেছে, তা বলতে পারছি না।
এর পরেও কেন শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ডাকলেন না?
আমরা আলাপআলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করতে চেয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় কখনওই পুলিশ ডাকে না।
যারা এমন ঘটনা ঘটালো, তাদের শাস্তি চান কি?
নিশ্চয়ই। মাননীয় মন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। শুক্রবার যুক্তমঞ্চের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠকের পরে সব পরিষ্কার হবে।
বুধবার বহিরাগতেরা বিশ্ববিদ্যলয়ে ঢুকেছিল। তার পরেও পুলিশ ডাকলেন না কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত পরিবেশ থাকা উচিত। এখানে পঠনপাঠন হয়। পুলিশ ডেকে সমস্যা মেটে না।
কিন্তু বহিরাগতেরা তো আর ছাত্র নয়?
তারা কারা, তা আমরা জানি। শুক্রবারের বৈঠকেও বিয়টি উঠবে।
শিক্ষকদের সামনে সেনেট হলে কী ভাবে হাততালি দিয়ে ঘুরলেন বহিরাগতেরা? কর্তৃপক্ষ কেন কিছু করল না?
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন তাদের দাবিদাওয়া জানাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য কেউ অন্যের অধিকারকে আঘাত করবে সেটা উচিত নয়।
দু’টি বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে তো যুক্তমঞ্চ আপনাকে আগেই তাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে। অন্য পক্ষ কি তাদের বক্তব্য আপনাকে জানিয়েছিল?
ছাত্রেরা আগে কোনও দাবিদাওয়া পেশ করেনি। যুক্তমঞ্চের আন্দোলনের ধরন নিয়ে তাদের কিছু আপত্তি ছিল। সেটাই তারা বলতে এসেছিল।
আপনি এত দিন ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই ঘটনা আপনার কর্মজীবনে কালো দাগ হয়ে থাকল না কি?
বুধবার খুবই কষ্ট হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy