—প্রতীকী চিত্র।
দুর্গাপুজো শেষ হলেই কলকাতায় বসছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। বিদেশি পর্যটকদের কথা ভেবে তার আগেই ঝাঁ-চকচকে বাস বা়ড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে এ বার অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি যাতে বাস চালানোর জন্যে অর্থ লগ্নি করতে পারে, সেই পথ মসৃণ করার প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার।
এত দিন এ রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক বাস চালানোর অনুমতি পেতে হলে ভারত সরকার কিংবা এ রাজ্যের পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট ভেহিক্যাল-এর অনুমোদন থাকতে হতো। এ বার থেকে ওই অনুমোদন ছাড়াই ২৪ বা তার চেয়ে বেশি আসনবিশিষ্ট ট্যুরিস্ট বাসের পারমিট মিলবে রাজ্য পরিবহণ দফতর থেকে।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতর থেকে লাক্সারি ট্যাক্সির পারমিট বিলি করা হয়। পারমিট পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট মালিক গাড়ি নথিভুক্ত করেন ওলা কিংবা উব্রে।’’ ওই কর্তা জানান, একই পদ্ধতিতে বাসেরও পারমিট দেওয়া হবে। তার পরে ওই বাস স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করতে পারবে। অথবা অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাতেও নাম লেখাতে পারে। কর্তাটির দাবি, ‘‘ইতিমধ্যেই শহরে বাস চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে একাধিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা। বিশ্বকাপের শহরে বাসের চাহিদা সরকার মেটাতে পারবে না। তাই বেসরকারি সংস্থার লগ্নি প্রয়োজন।’’
পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপের আগে আপাতত দেড়শোটি বাস নামানো হবে। ওই বাস চালানোর পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলি হল— প্রথমত, প্রতিটি বাসে জিপিএস, প্যানিক বাটন থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সিসি ক্যামেরা এবং অডিও সিস্টেম থাকতে হবে বাসটিতে। তৃতীয়ত, বাসটি লাক্সারি হবে এবং পারদর্শী চালক থাকতে হবে। চতুর্থত, বাসটি অবশ্যই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
সরকারের এই নীতির বিরোধিতা করছেন বেসরকারি বাসমালিকেরা। তাঁদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট্সের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের পরে বাসগুলির কী হবে, তা নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। ওলা-উব্র ট্যাক্সির ক্ষেত্রে যে ভাবে ইচ্ছে মতো ভাড়া চাওয়া হয়, বাসেও সে ভাবে চাইলে যাত্রীদের হয়রানি বাড়বে। এ সব না ভেবেই সরকার যে ভাবেএতে উৎসাহ দিচ্ছে, তাতে পরিবহণ শিল্পের ক্ষতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy