নাচেন ভাল, তাই সেটিই পেশা করতে চেয়েছিলেন হরিদেবপুরের বাসিন্দা বছর পঁচিশের এক তরুণী। তাই এলাকারই বাসিন্দা এক যুবক নাচের অনুষ্ঠান করার জন্য বিহারে নিয়ে যেতে চাইলে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার জেরে যে কতটা বিপদে পড়তে হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তরুণী।
বছর ঘুরে গেলেও মেয়ে ফেরত না আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণীর মা। তার পরেই পুলিশ বিহারের সিওয়ান থেকে উদ্ধার করে ওই তরুণীকে। সেখানে গ্রেফতার করা হয়েছে চন্দন কুমারকে। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় তাকে।
পুলিশ জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা থানায় অভিযোগ জানান, নাচের অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর মেয়েকে বিহারে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছেন এক যুবক। মাসের পর মাস কেটে গেলেও মেয়ে বাড়ি ফেরেননি। শুধু ফোন করে জানান, বাড়ি ফেরা যাবে না। সম্প্রতি মেয়ে জানান যে, তাঁরা বিহারের সিওয়ানের মহারাজগঞ্জের আকাশি মোড় বলে একটি জায়গায় রয়েছেন। চন্দন বলে যে যুবকের সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন, তিনিই জোর করে তাঁকে আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
এই অভিযোগ পেয়ে হরিদেবপুর থানার একটি তদন্তকারী দল ২৪ ডিসেম্বর সিওয়ানের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে স্থানীয় লোকজনের সাহায্য নিয়ে এবং ফোনে মেয়েটির দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী আকাশি মোড়ের একটি বন্ধ বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, হরিদেবপুরের তরুণীই শুধু নন, সেখানে অভিযান চালিয়ে আরও তিন নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা বলে জেনেছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, চন্দন এ রাজ্য থেকে মেয়েদের নাচের অনুষ্ঠানের নাম করে নিয়ে যেতেন। অভিযোগ, বিহারে পৌঁছেই ওই মেয়েদের আটকে রাখা হত। কথা মতো না চললে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy