—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিদিনের মতো এলাকায় রান্নার গ্যাস সরবরাহ করতে এসেছিলেন এক কর্মী। বাড়িতে গ্যাস পৌঁছনোর আগেই ওজন যন্ত্র হাতে তাকে ঘিরে ধরলেন এলাকার বাসিন্দারা। দাবি করলেন, প্রতিটি সিলিন্ডারে গ্যাস কম রয়েছে। তাই ওজন করা হোক গ্যাস সিলিন্ডারের।
ওজন করতেই দেখা যায়, এলাকাবাসীদের অনুমান সত্যি। গ্যাস সরবরাহকারীর ভ্যানে থাকা তিনটি সিলিন্ডারের মধ্যে দু’টিতেই রয়েছে নির্ধারিত ওজনের তুলনায় কম গ্যাস। এর পরেই উত্তেজিত এলাকাবাসী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার লোকেদের আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আটক করা হয় ওই গ্যাস সরবরাহকারী কর্মীকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কালীঘাট থানা এলাকার কালীঘাট রোডে।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় ধৃতের নাম পঙ্কজ সিংহ। তাঁকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, গ্যাসের গাড়ি থেকে নামার পরে ওই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করা হচ্ছে। এর আগে পর্ণশ্রী থানা এলাকাতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার তদন্তও করছেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, গরফা এলাকাতেও একটি গ্যাস সিলিন্ডার চুরি চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। সেখানেও গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে। উদ্ধার করা হয়েছিল ২৭টি চোরাই সিলিন্ডার। তদন্তকারীদের অনুমান, তিনটি ঘটনার পিছনেই একটি চক্র কাজ করছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকাবাসীরা সন্দেহ করছিলেন তাঁদের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে কিছুটা কম গ্যাস থাকছে। তাই শনিবার তিনি গ্যাস সরবরাহ করতে এলে ওই কর্মীকে ঘিরে ধরেন এলাকাবাসীরা। নিজেরাই ওজন যন্ত্র নিয়ে ভ্যানে থাকা তিনটি সিলিন্ডারের মেপে দেখেন। মাপতে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি সিলিন্ডারে প্রায় চার কিলোগ্রাম করে গ্যাস কম রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মী এ দিন সাতটি সিলিন্ডার নিয়ে বেরিয়ছিলেন ডেলিভারির জন্য। যার মধ্যে চারটি ডেলিভেরি করে দিয়েছিলেন এই ঘটনা ঘটার আগেই। পরে মেপে দেখা যায়, সেই চারটি সিলিন্ডারেও গ্যাস কম রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy