ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ভিজে সুতো আটকে গিয়েছিল হাইটেনশন তারে। যার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জীব দাস (৩৪)। ওই ঘটনায় জখম হয়েছে তিনটি শিশুও।
রবিবার সোনারপুর থানা এলাকার পূর্বপল্লি সাউথ পাঁচপোতা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সঞ্জীবের বছর ছয়েকের মেয়ে অনুষ্কা, তাঁর শ্যালিকার এগারো বছরের মেয়ে পূজা দে এবং বোনের বারো বছরের ছেলে দীপ বাল্মীকি এই ঘটনায় জখম হয়। তারা পিজি-তে ভর্তি। বিদ্যুৎস্পর্শে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। পুলিশ জানায়, সঞ্জীবের ঝুটো গয়নার একটি দোকান রয়েছে। এ ছাড়া, কম্পিউটার সংক্রান্ত নানা কাজও করতেন তিনি। সঞ্জীব বরাবরই খেলাধুলো এবং ঘুড়ি ওড়ানোয় পারদর্শী। ঘুড়ি ছিল তাঁর নেশার মতো।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্ত্রী মধুমিতা ও মেয়ে অনুষ্কাকে নিয়েই ছিল সঞ্জীবের সংসার। অনুষ্কা স্থানীয় এক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। সঞ্জীবের দুই দাদা রয়েছেন। সৌমেন ও সৌরভ।
পুলিশ জানায়, রবিবার বাড়িতে অরন্ধন ছিল। সেই উপলক্ষে পরিবারের সকলে এক জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। সবাই একসঙ্গে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করেন। তার পরে মেয়েরা বিশ্রাম নিতে শুয়ে পড়েন। সঞ্জীব তাঁর ভাগ্নে দীপ ও শ্যালিকার মেয়ে পূজাকে নিয়ে দোতলার ছাদে ওঠেন ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য। কিছু ক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। তাই ছাদের পাঁচিল থেকে মেঝে— সবই ছিল স্যাঁতসেতে। ছাদের দু’-তিন ফুট দূর দিয়েই গিয়েছে হাইটেনশন লাইনের তার। বিকেল পাঁচটা নাগাদ আচমকাই ছাদে ভারী কিছু পড়ার জোরালো শব্দ হয়। পরিবারের সকলে দৌড়ে উপরে উঠে দেখেন, সঞ্জীব তড়িদাহত হয়ে পড়ে আছেন। পাশেই পড়ে জখম তিন শিশু। সঞ্জীবের মেয়ে চিলেকোঠার ঘরে জ্যাঠার কাছে শুয়ে ছিল। দুর্ঘটনার শব্দ পেয়ে সে ছুটে আসে। ছাদে পা পড়তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় অনুষ্কাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy