Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উলুবেড়িয়ায় টেট ফর্ম বিলি করল বহিরাগতরা

ব্যাঙ্কে ঢুকে নিজেদের ইচ্ছামতো ‘টেট’ পরীক্ষার ফর্ম তুলে বিলি করল একদল যুবক। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। এখান থেকেই গত সোমবার থেকে ‘টেট’ পরীক্ষার ফর্ম বিলি হচ্ছে। ফর্ম বিলি করার পদ্ধতিটি এইরকম। ব্যাঙ্কের ভিতরেই ছিলেন হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মীরা।

উলুবেড়িয়ায় টেট পরীক্ষার ফর্ম নেওয়ার লাইন।

উলুবেড়িয়ায় টেট পরীক্ষার ফর্ম নেওয়ার লাইন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৫ ০২:১৪
Share: Save:

ব্যাঙ্কে ঢুকে নিজেদের ইচ্ছামতো ‘টেট’ পরীক্ষার ফর্ম তুলে বিলি করল একদল যুবক। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। এখান থেকেই গত সোমবার থেকে ‘টেট’ পরীক্ষার ফর্ম বিলি হচ্ছে। ফর্ম বিলি করার পদ্ধতিটি এইরকম। ব্যাঙ্কের ভিতরেই ছিলেন হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মীরা। একেকটি পর্যায়ে তাঁদের কাছে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তাঁদের ডিপোজিট স্লিপ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীরা সংসদ কর্মীদের কাছে শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতার প্রমাণপত্র দেখালে যোগ্য প্রার্থীদের হাতে সেই ডিপোজিট স্লিপ তুলে দিয়ে তাঁদের পাঠানো হচ্ছিল ব্যাঙ্কের কাউন্টারে। ডিপোজিট স্লিপে প্রার্থীদের নামও লিখে দিচ্ছিলেন সংসদ কর্মীরা। সেটি দেখিয়ে কাউন্টার থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে তাঁরা ফর্ম পাচ্ছিলেন।

বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ বেশ কিছু যুবক হুড়মুড় করে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাদের সঙ্গে ছিল চাকুরীপ্রার্থীরাও। সরাসরি তারা ব্যাঙ্কের কাউন্টারে গিয়ে বেশকিছু ডিপোজিট স্লিপ ছিনিয়ে নেয়। সেগুলি তারা ইচ্ছামতো প্রার্থীদের হাতে তুলে দেয়। প্রার্থীরা তাতে নিজেদের নাম লিখে ব্যাঙ্কের কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে ফরম তুলে নেয়। এইসব দেখে শুনে সংসদ কর্মীরা বিকেল ৩টের পর থেকে আর কাজ করেননি। ওই যুবকরাই সন্ধ্যা পর্যন্ত এইভাবে ফরম বিলির দায়িত্ব নিয়ে নেয়। এক সংসদ কর্মী জানান, তাঁরা আগেভাবে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করে নিচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের অনেকেরই ফরম পাওয়ার যোগ্যতা ছিল না। কিন্তু কিছু অজানা যুবক ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে যে প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করছিলাম তা ভণ্ডুল করে দেয়। অনেক অযোগ্য প্রার্থীকে তারা ফর্ম বিলি করেছে।’’

আরামবাগে টেট পরীক্ষার ফর্ম নেওয়ার লাইন।

অভিযোগ, এর জন্য টাকাও নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পুলককান্তি দেব বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়ায় একটা গণ্ডগোলের খবর আমার কানে এসেছে। তবে ঠিক কী হয়েছে সে বিষয়ে আমার দফতরের কর্মীদের কাছ থেকে খোঁজ নেব। পুলিশি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।’’ তবে অযোগ্য প্রার্থীরা ফর্ম পূরণ করলে জমা দিলেও তা স্ক্রুটিনির সময়ে বাতিল হয়ে যাবে বলে পুলকবাবু জানান।

এ দিকে ফর্ম নেওয়ার জন্য যেভাবে ভিড় বাড়ছে তার মোকাবিলা করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাগনান, কদমতলা এবং সালকিয়া থেকে ফর্ম দেওয়া হবে বলে পুলকবাবু জানান। এই দু’দিন একটি রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাওড়া ময়দান এবং উলুবেড়িয়া শাখা থেকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। বাগনান, কদমতলা এবং সালকিয়াতেও এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরই শাখা থেকে ফর্ম দেওয়া হবে বলে পুলকবাবু জানান।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE