Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

এজলাস বয়কট অগ্রাহ্য করায় হেনস্থা পুলিশকে

শ্রীরামপুর আদালতের একটি এজলাসে আইনজীবীদের কর্মবিরতি উপেক্ষা করে একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় এক পুলিশ অফিসারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতা তথা সরকারি উকিল জয়দীপ মুখোপাধ্যায়-সহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই পুলিশ অফিসার। জয়দীপবাবু অবশ্য হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৭
Share: Save:

শ্রীরামপুর আদালতের একটি এজলাসে আইনজীবীদের কর্মবিরতি উপেক্ষা করে একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় এক পুলিশ অফিসারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতা তথা সরকারি উকিল জয়দীপ মুখোপাধ্যায়-সহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই পুলিশ অফিসার। জয়দীপবাবু অবশ্য হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত ৭ জানুয়ারি থেকে শ্রীরামপুর আদালতের দেওয়ানি বিচারক (সিনিয়র ডিভিশন) মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাস বয়কট করছেন আইনজীবীরা। বুধবার চণ্ডীতলা থানার একটি মামলার শুনানির জন্য বিচারপ্রার্থীরা ওই এজলাসে আসেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে জানতে পেরে কিছু আইনজীবী ছুটে আসেন। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। এজলাস ছেড়ে নেমে পড়েন বিচারক।

পুলিশ সূত্রের খবর, পাণ্ডুয়া থানার সাব-ইনস্পেক্টর দেবাংশু রায় এজলাস থেকে বেরনোর পরেই তাঁকে হেনস্থা করেন আইনজীবীরা। শ্রীরামপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই পুলিশ অফিসার জানান, তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। হুমকি দেওয়া হয়। জামা টেনে ধরা হয়, গেঞ্জি ছিঁড়ে যায়। দেবাংশুবাবুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ অফিসারকে হেনস্থার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গত সপ্তাহেই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে আইনজীবীদের লাগাতার কর্মবিরতি নিয়ে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। কিন্তু বিভিন্ন আদালতে নানা কারণ দেখিয়ে কর্মবিরতি চলছেই। এ দিনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতা জয়দীপের দাবি, “সরকারি আইনজীবী বা কেস ডায়েরি ছাড়াই দেবাংশুবাবু সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। তাই অফিসে তাঁকে আমরা বোঝাই।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “উর্দি পরা এক পুলিশ অফিসারের গায়ে কী আইনজীবীরা হাত তুলতে পারে?”

এ দিন সকালে ওই এজলাসে অন্য একটি মামলায় কাজ করতে গিয়ে আইনজীবীদের বাধায় ফিরে গিয়েছেন আলিপুর আদালতের এক মহিলা আইনজীবীও। সাক্ষ্য দিতে আসা অন্য ব্যক্তিদেরও ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়।

আইনজীবীদের একটি সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, গত ৭ জানুয়ারি বার লাইব্রেরির সম্পাদক রামচন্দ্র ঘোষের একটি মামলার শুনানি আগে করতে রাজি না হওয়াতেই মন্দাক্রান্তা দেবীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এজলাসেই চেঁচামেচি জুড়ে দেন রামবাবু। অন্য আইনজীবীদের নিয়ে বেরিয়ে যান। সেই দিন থেকেই ওই এজলাস বয়কট শুরু হয়। অভিযোগ, বয়কট না মানলে হয়রান করা হচ্ছে বিচারপ্রার্থী, উকিল এমনকী পুলিশকর্মীকেও। আদালত সূত্রে খবর, পরিস্থিতি দেখতে আজ, বৃহস্পতিবার জেলা জজ শ্রীরামপুর আদালতে আসতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

serampore harassment police southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE