আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। —নিজস্ব চিত্র।
বছর নয়েক আগে এক ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়েছিল গোঘাটের লালপুর গ্রামের তিন যুবককে। সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোমবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের নাম গণেশ দাস এবং পাপ্পু সিংহ। দু’জনের বাড়ি লালপুর সংলগ্ন কর্ণপুর গ্রামে। ধৃতদের মঙ্গলবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভোরে স্থানীয় শ্যামবাজার গ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে লালপুর গ্রামের জালিম শাহ, মাজেদুল মল্লিক এবং হাসেম মল্লিক এবং বহড়াশোল গ্রামের ইউসুফ আলি খান নামে চার যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। কর্ণপুর গ্রামে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন কঞ্জগেড়ে মাঠ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই চার জনকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই জালিম, মাজেদুল এবং হাসেম মারা যান। তাঁরা তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত হওয়ায় ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছিল। তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ সিপিএমের লোকজন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কর্ণপুরে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকিয়ে ওই তিন জনকে পিটিয়ে খুন করে বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ সিপিএম মানেনি।
ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ১৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে সকলেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সিআইডি তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে। গত বছরের ২১ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার নেয় সিআইডি। এই নিয়ে তিন জনকে হত্যা-মামলায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy