গুদামের দখলদারি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গুলিবিদ্ধ হলেন দুই ব্যক্তি। সোমবার সকালে, গোলাবাড়ি থানা এলাকার পিলখানার কাছে জি টি রোডে। পুলিশ জানায়, আহতদের নাম নন্দজি যাদব ও আলগু পাসোয়ান। দু’জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ও পরে কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জিটি রোডের ধারেই একটি তিনতলা আবাসনের নীচে প্রায় এক হাজার বর্গফুটের গুদাম মালপত্র রাখতে ভাড়া নিয়েছিলেন রবীন থমাস নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি নিয়মিত ভাড়াও দিতেন। কিন্তু অভিযোগ, বছর কয়েক আগে রামলাল যাদব নামে তাঁরই এক কর্মী তা দখল করে নেয়। পুলিশ জানায়, এ নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রামলালের গোলমাল চলছিল। সম্প্রতি গুদামের মালিক সেটি গণেশ যাদব ওরফে ভাকু নামে এক যুবকের হাতে তুলে দেওয়ায় বিবাদ চরমে ওঠে। পুলিশ জানায়, ভাকু এলাকার পরিচিত দুষ্কৃতী। অভিযোগ, এ দিন সে-ই দলবল নিয়ে গুদামটি দখল করতে আসে। পুলিশ জেনেছে, রামলাল এবং ভাকুর দলের মধ্যেই সংঘর্ষ হয় এ দিন। রামলালের লোকজন ৩-৪ রাউন্ড এলোপাথাড়ি গুলিও চালায়।
পুলিশ জানায়, ওই সময়ে পাশেই ছেলের চায়ের দোকানের সামনে বসে চা খাচ্ছিলেন নন্দজি। হঠাৎ তাঁর গুলি লাগে। উল্টো দিকে একটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী আলগু কাজে যোগ দিতে আসছিলেন। কারখানার সামনেই তাঁর পায়ে গুলি লাগে। যদিও তাঁদের সঙ্গে এই দখলদারির যোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরেই রামলাল ও ভাকু দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
এ দিকে, দিনের বেলা পিলখানায় প্রকাশ্য রাস্তায় এই ঘটনার পিছনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন এলাকাবাসীরা। এক বাসিন্দা সুনীল তিওয়ারি বলেন, “এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। রাস্তায় রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের ভূমিকা দর্শকের মতো।” হাওড়া পুলিশের এক কর্তা বলেন, “এটি গুদাম দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলমাল। তিন জন আটক হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy