Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

দলীয় কোন্দলে জেরবার তৃণমূল, বিজেপি

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পুরভোটের আগে হুগলি এবং হাওড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই অস্বস্তিতে। দু’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করেও হুগলির আরামবাগে তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষোভ কমেনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পছন্দের প্রার্থী চেয়ে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা এবং পুরপ্রধান স্বপন নন্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান দলের লোকজন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৯
Share: Save:

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পুরভোটের আগে হুগলি এবং হাওড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই অস্বস্তিতে।

দু’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করেও হুগলির আরামবাগে তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষোভ কমেনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পছন্দের প্রার্থী চেয়ে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা এবং পুরপ্রধান স্বপন নন্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান দলের লোকজন। বিধায়ক ও পুরপ্রধান রাতেই দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের কাছে যান। সেখানে চূড়ান্ত হয়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শিবনারায়ণ মালিকের বদলে হিমাংশু মালিক এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল সেলিমের বদলে কার্তিক যশকে প্রার্থী করা হবে। শিবনারায়ণবাবুকে সরানোর প্রতিবাদে গত বারের দলীয় কাউন্সিলর মিতা দে, তাঁর স্বামী বিকাশ দে দলবল নিয়ে নেতাদের কাছে বিক্ষোভ দেখান। সেলিমের দাবি, ‘দলের স্বার্থে’ তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এ দিন শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়, রিষড়ার পুরপ্রধান শঙ্কর প্রসাদ সাউ মনোনয়ন জমা দেন। উত্তরপাড়া এবং ডানকুনিতে তৃণমূলের কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।

ডানকুনি ও উত্তরপাড়ায় বিক্ষুব্ধ কয়েক জন বিজেপি কর্মী শিবসেনার হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। শিবসেনা নেতৃত্বের দাবি, ডানকুনিতে ৫ এবং উত্তরপাড়ায় ২ জন তাঁদের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী গণেশ রায় এ বার ডানকুনি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিবসেনার প্রার্থী। গণেশবাবু জানান, তিনি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভায় যোগ দিয়েছেন। ওই সংগঠনের সঙ্গে শিবসেনার জোট রয়েছে। তাঁর ক্ষোভ, “রাজ্যে রাহুল সিংহ আর হুগলিতে কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে যে ভাবে বিজেপি চলছে, কহতব্য নয়। পুরনোরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।” কৃষ্ণাদেবী বলেন, “গণেশ রায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের সম্পর্কে জানা নেই।”

এ দিন উলুবেড়িয়ায় বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান নাজিমা খানের স্বামী বাপি খান-সহ তৃণমূলের পাঁচ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বাপি বলেন, “১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মীরা আমাকেই প্রার্থী চেয়েছিলেন। কিন্তু তা হল না। জিতে প্রমাণ দেব, আমিই প্রকৃত তৃণমূল প্রার্থী।” তৃণমূলের হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি পুলক রায় বলেন, “এ সব ছোটখাটো ব্যাপার। দলের কাছে কোনও সমস্যাই নয়।”

বিজেপি-র দুই বিক্ষুব্ধ কর্মীও নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এ দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন মঞ্জুরী চক্রবর্তী। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে সঞ্জু রাজভড়কে। এ দিন তিনিও মনোনয়ন জমা দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE