বকেয়া মেটানোর দাবিতে উলুবেড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলর, আধিকারিক এবং কর্মচারীদের মঙ্গলবার দিনভর ঘেরাও করে রাখলেন ঠিকাদাররা। চলল বিক্ষোভ। ফলে, পুরসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হল।
আগামী ২৬ জুলাই বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই, ঠিকাদারদের আশঙ্কা, বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগে বকেয়া না পেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে। সামিল হন শ’তিনেক ঠিকাদার। সন্ধ্যার দিকে তাঁরা কয়েক জন মহিলা কর্মীকে বাড়ি যেতে দেন। রাত পর্যন্ত ঘেরাও চলে। সাংসদ সুলতান আহমেদ-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনেই তাঁদের পাওনা আটকে রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন ঠিকাদাররা।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ বলেন, “পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে বলে তাড়াহুড়ো করে ঠিকাদারেরা বিল জমা দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে চাইছেন। কিন্তু এ ভাবে বিল মেটানো যায় না। বিল খতিয়ে দেখে তবেই পাওনা মেটানোর কথা বলা হয়েছে পুরকর্তাদের।” কিন্তু বিল খতিয়ে দেখার মধ্যে যদি পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়? সুলতান বলেন, “বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলেও পুরসভা তো আর উঠে যাচ্ছে না। প্রশাসনিক আধিকারিক নিয়োগ করা হবে। তিনিই পুরসভা চালাবেন। ঠিকাদারদের টাকাও মেটাবেন। এখনই তাড়াহুড়ো করে পাওনা মেটানো হলে ভবিষ্যতে সেই বিল নিয়ে কোনও গোলমাল দেখা দেয় তার দায় কে নেবে?” প্রায় একই সুরে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায়ও বলেন, “ঠিকাদাররা সকলেই টাকা পেয়ে যাবেন। কোনও সমস্যা হবে না।” বিক্ষোভ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমা খান।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, তাঁদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় সাত কোটি টাকা। অতীতে দেখা গিয়েছে ক্ষমতাসীন বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে প্রশাসনিক আধিকারিকরা আর বিল মেটান না।
এ ভাবে তাঁদের অনেক পাওনা মার খেয়েছে। মইদুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার বলেন, “প্রায় ছ’মাস ধরে বকেয়া পাচ্ছি না। সামনেই ঈদ। আমরা যাঁদের কাছ থেকে ইমারতি দ্রব্য কিনেছি, তাঁরাও নিয়মিত তাগাদা করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy