Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মিড ডে মিল মিলছে না স্কুলে, আজ বৈঠক

প্রায় দু’বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু পুড়শুড়ার সোঁয়ালুক আজাদ হাইস্কুলে আজও চালু হল না মিড-ডে মিল। ফলে, রান্না খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের নানা অজুহাতের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের। স্কুল কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ মানেননি। সমস্যা মেটাতে আজ, মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও অনির্বাণ রায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুড়শুড়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৯
Share: Save:

প্রায় দু’বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু পুড়শুড়ার সোঁয়ালুক আজাদ হাইস্কুলে আজও চালু হল না মিড-ডে মিল। ফলে, রান্না খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের নানা অজুহাতের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের। স্কুল কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ মানেননি। সমস্যা মেটাতে আজ, মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও অনির্বাণ রায়।

২০১০ সাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল এবং হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুড়শুড়ায় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট স্কুলের সংখ্যা ১৪৩। তার মধ্যে সোঁয়ালুক হাইস্কুল বাদে ১৪২টিতেই দফায় দফায় মিড-ডে মিল চালু হয়ে গিয়েছে। ওই হাইস্কুলে ছাত্রছাত্রী প্রায় সাড়ে ৩০০। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিল চালুর ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই বিডিওর কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত পত্র দেন অভিভাবকেরা। দ্রুত মিড-ডে মিল চালুর দাবিও জানানো হয় তাতে।

বিডিও অনির্বাণ রায় বলেন, “যে সব বাধার কথা বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বছর দুয়েক ধরে মিড-ডে মিল চালু করছেন না, সেই সব বাধা কাটানোর পরেও কেন এখনও তা চালু হয়নি জানার জন্য মঙ্গলবার বৈঠকে বসা হবে। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই মিড-ডে মিল চালু করা সম্ভব হবে।”

কেন এখনও মিড-ডে মিল চালু হল না ওই স্কুলে?

স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শেখ আব্বাস আলি বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবে মিড-ডে মিল চালু করতে দেরি হচ্ছে। রান্নঘরের জন্য দু’লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ সম্পূণর্র্ হয়নি। আরও টাকার প্রয়োজন। আমরা আবেদন করেছি।” একই কথা জানিয়ে প্রধান শিক্ষক উপলকুমার পণ্ডিত বলেন, “মিড-ডে মিল চালু করা নিয়ে আমাদের উদাসীনতা বা অনীহার প্রশ্ন নেই।”

তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে চাননি ব্লক প্রশাসনের কর্তাদেরই একাংশ। তাঁদের মতে, পরিকাঠামো অসম্পূর্ণ থাকার কথা অজুহাত মাত্র। ব্লকেরই অনেক স্কুল রান্নাঘর নির্মাণের আগেই ত্রিপল টাঙিয়ে মিড-ডে মিল চালু করেছে। সোঁয়ালুক হাইস্কুলের সঙ্গেই একই দিনে রান্নাঘরের জন্য টাকা পাওয়া শ্যামপুর স্কুল অনেক বেশি ছাত্রছাত্রীর মিড-ডে মিল সাফল্যের সঙ্গে চালাচ্ছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুড়শুড়ার বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিল চালুর প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়, তখন সোঁয়ালক হাইস্কুল তাদের রান্নাঘরের জন্য জায়গা নেই জানিয়ে প্রকল্পটি চালু করেনি। প্রশাসন এবং স্কুল পরিদর্শকের উদ্যোগে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের পড়ে থাকা একটি জায়গা তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু সেই জায়গা নিচু এবং তা ভরাট করতে অতিরিক্ত খরচ হবে জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজে বিলম্ব করে। গত বছরের মাঝামঝি ওই স্কুলের রান্নাঘর নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ টাকা ব্লক প্রশাসন থেকে স্কুলকে দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেই টাকায় জমির অনেকটাই ভরাট করতে খরচ হয়েছে। বর্তমানে রান্নাঘরের দেওয়াল এবং ছাদ ঢালাই হলেও দরজা-জানালা এবং ঘরের মেঝে নির্মাণ হয়নি।

স্কুলের ছাদ থেকে ছাত্রকে উদ্ধার। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাগনানের বাইনান বামনদাস হাইস্কুলের ছাদ থেকে ওই স্কুলেরই অর্ঘ্য কোলে নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা। সোমবার বিকেলের ঘটনা।

স্কুলের মাঠে এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ কয়েক জন বালক ক্রিকেট খেলছিল। বলটি দোতলা ওই স্কুলভবনের ছাদে পড়ে। সেই বল আনতে গিয়ে এই বালকেরা অর্ঘ্যকে ওই অবস্থায় দেখে সকলকে জানায়। অর্ঘ্যের বাড়ির লোকজন এবং গ্রামবাসীরা চলে আসেন। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়।

অর্ঘ্যের বাবা বিশ্বজিৎ কোলে বলেন, “ছেলে স্কুল থেকে বাড়িতে না ফেরায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। খোঁজাখুঁজিও শুরু করি। কীভাবে এটা ঘটল তা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ছাত্রটি আতঙ্কে রয়েছে। ফলে, তাকে সে ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভূদাস বোধক বলেন, “আমি স্কুলে ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

pursurah midday meal southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE