যান নিয়ন্ত্রণে নিযুক্তদের দেওয়া হল পোশাক, মাস্ক।—নিজস্ব চিত্র।
যানজটে জেরবার আরমবাগ শহরে অবশেষে ঢেলে সাজা হল ট্রাফিক ব্যবস্থা। মহকুমাশাসকের বিশেষ উদ্যোগে বুধবার সকালে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে পুলিশ। এই কাজে পুলিশকে যৌথভাবে সাহায্য করবে আরমবাগ পুরসভা। মহকুমাশাসক প্রতুলকুমার বসু বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় শহরের যান চলাচল সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আমাদের আশা।” নতুন ব্যবস্থায় যানজট সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্রও।
অতীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। কিন্তু যানজটে নাজেহাল আরামবাগ শহরের মানুষ আশা ছাড়তে নারাজ। তাই ফের নতুন ব্যবস্থাপনায় যানজটমুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। নয়া ব্যবস্থায় শহরের যানজট প্রবণ এলাকা পূর্বদিকে বাসুদেবপুর মোড় থেকে পশ্চিমে পল্লিশ্রী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে ৬৪ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া থাকছেন ১০ জন ট্রাফিক পুলিশ ও পুরসভার ১৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সমস্ত বিষয়টি তদারকি করবে আরামবাগ থানা। সবার উপরে থাকছেন এসডিপিও।
এ দিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত সিভিক স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহ দিতে তাঁদের সবুজ ঝকমকে পোশাক, ধুলো থেকে মুখরক্ষার জন্য মাস্ক, সিগন্যাল ব্যাটন, বাঁশি দেওয়া হয়। যান নিয়ন্ত্রণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে লাগানো হয়েছে নো-পার্কিং, বোর্ব এবং স্ট্যান্ড। এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” শহরের যানজট সমস্যা নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নাগরিক কমিটি এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও হয়েছে বহুবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আরামবাগ শহর বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সারা দিনে কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। শহরে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই রাস্তা লিঙ্ক রোড। তার উপর অপরিসর এবং ভাঙাচোরা সেই রাস্তাতেও বেআইনি যান ও হকারের দৌরাত্ম্য। রাস্তা দখল করে ফেলে রাখা হয় ইমারতীর সামগ্রী। শহরে কোনও বাইপাস না থাকায় যানজটে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। শহরবাসীকে স্বস্তি দিতে যানশাসনে পুলিশ যেমন কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি, তেমনই ট্রাফিক নিয়মের লঙ্ঘনও দেখা গিয়েছে পথচারীদের মধ্যে। এই অবস্থায় শহরের দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজতে মহকুমাশাসক সম্প্রতি দুটি বৈঠক করেন পুলিশ ও পুরসভাকে নিয়ে। তারপরেই এই উদ্যোগ।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরের প্রধান রাস্তা লিঙ্ক রোড ছাড়াও কড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকছে হাসপাতাল রোড তথা রেল স্টেশন পৌঁছনোর রাস্তায় এবং পিসি সেন রোডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy