ভাঙা রান্নাঘর।—নিজস্ব চিত্র।
ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল মিড-ডে-মিলের রান্নাঘর। তারপর আর তা নতুন করে তৈরি হয়নি। আর তার ফলে ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কারণ, ঘর তৈরি না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে মিড ডে মিল। এর ফলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরাও।
হাওড়া জগৎবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি ২ নম্বরং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খড়দা ব্রাহ্মণপাড়া চিন্তামণি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড- ডে-মিলের রান্নাঘরটি গত ১২ জুন প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে। রান্নাঘরটির দেওয়াল, পিলার ও অ্যাসবেস্টসের চালের সম্পূর্ণ অংশ নীচে পড়ে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ১৩ জুন জগৎবল্লভপুরের বিডিও, দক্ষিণ চক্রের এস আই, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, পঞ্চায়েত সমিতি, সর্বশিক্ষা মিশন, জেলাশাসক, শংহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত ভাবে ঘটনাটি জানান। কিন্তু গত দেড় মাস পার হয়ে গেলেও রান্নাঘর তৈরির কাজ শুরু হয়নি। ফলে বন্ধ রয়েছে মিড ডে মিল। তবে রান্নাঘর ভেঙে পড়ার পরে কিছুদিন স্কুলের শৌচাগারের পাশে সেডের নীচে অস্থায়ী ভাবে রান্নার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু শৌচাগারের দুর্গন্ধে তা বেশিদিন চালানো সম্ভব হয়নি।
এ দিকে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দুপুরের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করেছে। মিড-ডে-মিল বন্ধ হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও চিন্তায় পড়েছেন। সরস্বতী পুরকায়স্থ, পল্টু সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা সাধারণত খাবারের টানেই স্কুলে যেত। সেই সঙ্গে পড়াশোনাও হত। কিন্তু মিড-ডে-মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর স্কুলে যেতে চাইছে না।”
মিড-ডে-মিল বন্ধ থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিশেষ চিন্তিত। প্রধান শিক্ষক শঙ্কর কর্মকার বলেন, “রান্নাঘর ভেঙে পড়ার পর দিনই আমি প্রশাসনের সব দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু আজও রান্নাঘরটি তৈরি হল না। এর ফলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ক্রমশ কমছে।”
শঙ্করহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ সাইফুল বলেন, “ঝড়ে ভেঙে পড়া মিড-ডে-মিলের রান্নাঘরটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বিডিও-কে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ এখনও শুরু হয়নি। জগৎবল্লভপুরের বিডিও তাপস মহান্তী বলেন, রান্নাঘরটি যাতে শীঘ্র তৈরি হয় সে ব্যবস্থা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy