বেহাল রাস্তার উপর বসে অবরোধ জনতার। ছবি: প্রকাশ পাল
সংস্কারের দাবিতে বুধবার ফের অবরোধ হল শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় দিল্লি রোড থেকে জিটি রোডের সংযোগকারী রাস্তায়। তৃণমূল প্রধানকে আটকে বিক্ষোভ হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ চলে।
এলাকায় দিল্লি রোডের বাঙ্গিহাটি মো়ড় থেকে বিবির বেড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বড় বড় গর্ত। সেই গর্তে বৃষ্টির জল জমে কার্যত জলাশয়ের চেহারা নিয়েছে। পরিস্থিতি এমন, গাড়ি চালানোই দুষ্কর। অটো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা সারানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়ে আসছেন স্থানীয় মানুষ। একাধিক বার অবরোধ হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তাদের আশ্বাস ছাড়া কাজ কিছুই হয়নি। অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক প্রতিদিন ওই রাস্তায় যাতায়াত করে। তাতে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ রিষড়ার একটি ইনস্যুলেটর কারখানার পণ্যবোঝাই ট্রাক ওই রাস্তায় যাচ্ছিল। অভিযোগ, ট্রাক থেকে পণ্যের বস্তা রাস্তায় পড়ছিল। এক সাইকেল আরোহীর গায়ে তা পড়লে তিনি চোট পান। সাইকেলটির ক্ষতি হয়। এর পরেই উত্তেজিত জনতা রাস্তার উপরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অবরোধের ফলে আটকে যায় যানবাহন। অবরোধকারীদের তরফে পঞ্চায়েত প্রধান বিষ্ণু মণ্ডলকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। তিনি এলে তাঁকে কার্যত আটক করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলতে অনুরোধ করলেও জনতা তা শোনেনি। তারা দাবি জানায়, যত দিন রাস্তা সংস্কার না হচ্ছে, তত দিন ভারী ট্রাক বা ট্রেলার চলাচল বন্ধ হোক। শেষ পর্যন্ত শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আচ্ছালাল যাদব ঘটনাস্থলে এসে অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। বিষ্ণুবাবুর দাবি, পঞ্চায়েতের পক্ষে অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি নিজে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে এ ব্যাপারে দরবার করেছেন।
রাস্তা সংস্কারের টাকা কে দেবে, এই নিয়ে ডামাডোলেই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাস্তাটি সংস্কারে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কেএমডিএ-র কাছে টাকার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন কল-কারখানারও রাস্তা সংস্কারে টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি। তবে হুগলি জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘রাস্তাটি সংস্কারের টাকা আমাদের নেই। কেএমডিএর কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। বর্ষার পরেই রাস্তা সংস্কারের কাজ আরম্ভ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy