তৃণমূলের একটি বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তাদের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সিটুর লোকজনের সংঘর্ষে সোমবার বিকেলে তেতে ওঠে সাঁকরাইলের ধুলাগড় সব্জিবাজার এলাকা। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ১২ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে আগে হামলার অভিযোগ তুলেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারটি চালু হয় ২০০৫ সাল নাগাদ। বর্তমানে সেখানে শ’চারেক শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে প্রথম থেকে বামেদেরই বেশি প্রভাব ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরু করে। এ নিয়ে আগে কয়েক বার দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
সোমবার বনগাঁ লোকসভা এবং কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তৃণমূল ওই বাজারে মিছিল করে। তাতে আইএনটিটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা সামিল হন। সেই সময়ে সিটু এবং আইএনটিটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে টিপ্পনী কাটে বলে অভিযোগ। তা থেকেই প্রথমে বচসা, তার পরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষ পরস্পরের উপরে রড-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়।
আইএনটিটিইউসি-র অভিযোগ, সিটু তাদের উপরে হামলার জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল। প্রথমে সিটুই হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে আইএনটিটিইউসি সমর্থকেরা প্রতিরোধ করেন। হামলায় তাদের ৮ জন জখম হন বলে আইএনটিটিইউসি-র দাবি। আইএনটিটিইউসি নেতা মহম্মদ সিদ্দিক বলেন, “ওখানে সব সময়ে আমরাই মার খেয়েছি। এখনও মার খাচ্ছি। আমাদের ওরা দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে। এ দিনের ঘটনা সেই কারণেই।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিটু। তাদের পাল্টা দাবি, সোমবার বিকেলে শ্রমিকেরা যখন কাজ করছিলেন, তখন আইএনটিটিইউসি-র শ্রমিকেরাই হামলা করে। মার থেকে বাঁচতে তাদের শ্রমিকেরা রুখে দাঁড়ান। হামলায় তাদের ৪ জন জখম হন।
সিটুর জেলা কমিটির সদস্য নন্দলাল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আইএনটিটিইউসি নিজেদের লোক বাড়াতে আমাদের বর্তমান শ্রমিকদের হটিয়ে দিতে চাইছে। তাই, শ্রমিকদের ভয় দেখাতেই পরিকল্পনা করে ওই আক্রমণ করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy