তাণ্ডবের চিহ্ন।--নিজস্ব চিত্র।
সোমবার গোঘাট সিপিএমের দশম জোনাল সম্মেলন হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, কামারপুকুর চটি সংলগ্ন ওই জোনাল কার্যালয়ে সকালে একদফা বোমাবাজি করে তৃণমূলের লোকজন। পরে ফের দুপুর ১২ টা নাগাদ জনা কুড়ি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক কার্যালয় চত্বরে চড়াও হয়ে গালিগালাজ শুরু করে ও ইট-পাটকেল ছোড়ে। ভাঙচুর করা হয় সম্মেলনে উপস্থিত দলীয় সদস্যদের ১০টি মোটরসাইকেল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে মুখে গামছা বাঁধা তৃণমূল কর্মীরা চম্পট দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় গতবারের মতো এবারও তপন পাত্রকেই জোনাল সম্পাদক নির্বাচিত করে সম্মেলন দুপুর আড়াইটা নাগাদ শেষ হয়। বিকালে দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিপিএমের গোঘাট জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “এ বার নিয়ে মোট ১৯ বার দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে হামলা চালাল তৃণমূল।”
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিকে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফরিদ খান বলেন, “ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের ছেলেদের যোগ আছে কিনা দেখা হচ্ছে। তবে যারাই এ সব করুক তা ভাল হয়নি।”
যদিও স্থানীয় তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সিপিএমের জোনাল সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় খবর ছড়ায়, দাপুটে সিপিএম নেতা বর্তমানে ঘরছাড়া গোঘাটের প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক অভয় ঘোষ সম্মেলনে হাজির থাকবেন। তাঁর ফেরার খবরে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব মান্দারন এলাকার জনা কুড়ি কর্মীকে দিয়ে এই হামলার পরিকল্পনা করে। যাতে গোলমালের আশঙ্কায় অভয়বাবু না আসেন।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের প্রথম সারির কয়েকজন সিপিএম নেতা সকাল ৮টা নাগাদ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন মূল ফটকের কোলাপসিবল গেটের ভিতর অনেকগুলি আস্ত গাছবোমা। বাইরে চত্বরেও কিছু ফাটানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে এবং ঘর খুলে তাঁদের কর্মসূচি চালাতে বলে। সম্মেলন চলাকালীনই দুপুর ১২ টা নাগাদ ফের কার্যালয়ের সামনে বোমা ফাটে। দোতলার জানলা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। বাইরে রাখা বেশ কিছু মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy