ফাঁকা ফ্ল্যাটে ফের লুঠপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। লুঠপাটের আগে অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসতে পারেন সে জন্য প্রত্যেকটি দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে মধ্য হাওড়ার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বলে পরিচিত সদর বক্সি লেনে। আর এই ঘটনা ফের রাত পাহারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার সস্ত্রীক পুরী বেড়াতে যান তিনতলা একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলার বাসিন্দা যাদব হালদার। আজ রবিবার সকালে তাঁদের ফেরার কথা। কিন্তু তার আগেই ফ্ল্যাটের বাকি বাসিন্দারা শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁদের সকলেরই বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। এর পরেই ধাক্কাধাক্কি চেঁচামেচি শুরু হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই দরজা খুলে সকলকে মুক্ত করেন। জানা যায়, যাদববাবুর ঘরের তিনটি তালা ও আলমারি ভেঙে চুরি গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার সোনার অলংঙ্কার ও নগদ টাকা। প্রতিবেশীরাই ফোনে খবর দেন যাদববাবুর ছেলে ও বৌমাকে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
গত কয়েক বছর ধরে হাওড়া শহরে ফাঁকা বাড়িতে চুরি প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও বাসিন্দা বাইরে বেড়াতে গেলে বা বাড়ি ফাঁকা রেখে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাইরে গেলে সেই সুযোগে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে লুঠ চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা।
কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের একই কায়দায় চুরি হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে, রাতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড বা আরএফএস পাহারায় থাকা সত্ত্বেও বার বার এ ধরণের চুরি হয় কী করে? হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সদর রণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ পাড়ার মোড়ে থাকে। এর পরে রাতা পাহারায় কোনও ঢিলেমি থাকলে বিষয়টা খতিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy