প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগে শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর পঞ্চায়েতের একমাত্র বিজেপি সদস্য নন্দগোপাল ঠাকুর ওরফে জংলিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে মৃতদেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। তদন্তে ঘটনার কিনারাও এখনও হয়নি। তদন্তে ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগে এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ, সোমবার কানাইপুর এবং নবগ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডাকল বিজেপি।
খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার এলাকায় মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। কোন্নগর স্টেশনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। আদর্শনগর, শাস্ত্রীনগর ঘুরে ওয়্যারলেস মাঠে শেষ হয়। নিহতের ছেলে লক্ষ্মণ ঠাকুর, বিজেপি-র উত্তরপাড়া মণ্ডল সভাপতি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় নেতারা মিছিলে সামিল হন। জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ‘‘সোমবার কানাইপুর এবং নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছি আমরা।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘শাসক দলের লোকজনই এ ভাবে এক জনপ্রিয় মানুষকে খুন করল। অথচ পুলিশ এখনও কিছুই করতে পারল না! তদন্ত কি হচ্ছে, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।’’
রেল পুলিশের অফিসাররা অবশ্য দাবি করেছেন, অভিযোগ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় নিহত নেতার বাড়িতে যান বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্র। সঙ্গে স্বপনবাবুও ছিলেন। নিহতের স্ত্রী, ছেলের সঙ্গে কথা বলেন চন্দনবাবু। বিষয়টি রাজ্যসভায় তুলবেন বলেও তাঁদের আশ্বাস দেন সাংসদ।
তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ মানেননি। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আগেও বলেছি, এখনও বলছি আমাদের দলের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নন। তদন্তে নিশ্চয়ই সত্য বেরিয়ে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy