হাসপাতালে আসার পথে প্রসূতির মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট
প্রসব বেদনা নিয়ে আরামবাগ হাসপাতালে আসার পথে গোঘাটের এক প্রসূতির মৃত্যুতে গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশই। সোমবার দুপুরে হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্যোত্স্না বিবি (২৬) নামে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী গর্ভকালীন পরিষেবা পাননি বলে দাবি করেছেন মৃতার স্বামী শেখ সাহাবুদ্দিন। যদিও এ নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মী বা আশাকর্মীকে গ্রামে দু’এক বার দেখা গেলেও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা তো করতে দেখিনি।” ব্লক স্বাস্থ্য দফতর অভিযোগ মানেনি। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ বসু বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। প্রসূতির গর্ভকালীন পরিষেবাগুলি যথাযথ দেওয়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের গভর্বতী মহিলাদের নিয়মিত পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং উপদেশ দেওয়ার কথা। ৪ মাস থেকে ৯ মাস পর্যন্ত নিয়মিত পরীক্ষা ছাড়াও প্রসূতির কোনও অসুখ থাকলে তা আগাম নির্ণয় করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করারও কথা। এ ছাড়াও টিকা দেওয়া, প্রসূতির নিয়মিত ওজন নেওয়া, রক্তচাপ মাপা ইত্যাদি কাজও তাদের করার কথা। প্রসূতির সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করিয়া দেওয়ার কথা আশাকর্মীদের।
ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মগরা
বাড়ির কাছে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে মগরার ত্রিবেণীর শিবপুর এলাকায়। মৃতের নাম হরিশঙ্কর শর্মা (৩৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকটি দ্রত গতিতে আসছিল। হরিশঙ্করকে চাপা দিয়ে ট্রাকটি পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরিশঙ্করের। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। ট্রাকের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে শিবপুর এলাকায় চারটি পুজোর জাঁকজমক কমিয়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান শারদ উত্সব আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের মায়াপুর সর্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটি এবং স্থানীয় অরবিন্দ পাঠাগার যৌথ ভাবে ‘ভ্রাম্যমাণ শারদ উত্সব’ পালন করল। কয়েকশো মানুষ উত্সবে সামিল হন। প্রত্যেকের হাতে ছিল শরতের প্রতীক কাশফুল। বেলুন নিয়ে নাচ, গান আবৃত্তি পাঠ করতে করতে তাঁরা রাস্তা ধরে কাবলে এবং রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অরবিন্দ পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক বিভাংশু দত্ত।
শব্দবাজি আটক
গঙ্গা পেরিয়ে শহরে ঢোকার মুখে প্রচুর শব্দবাজি আটক করল হুগলির শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নৌকো করে ওই সমস্ত শব্দবাজি শেওড়াফুলির একটি ঘাটে নামিয়ে ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। টহল দেওয়ার সময় তা পুলিশের নজরে পড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy