Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

বালেশ্বর থেকে গাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চুঁচুড়ার এক বালক ও এক মহিলার। আহত হন চার জন। রবিবার রাতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি কংক্রিটের থামে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। কুয়াশার জেরে ওই দুর্ঘটনা বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অস্প্রি মহান্তি (১২) এবং রিনা সিংহ (৪৫)।

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫৯
Share: Save:

দুর্ঘটনায় মৃত্যু বালক-সহ চুঁচুড়ার দু’জনের

নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

বালেশ্বর থেকে গাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চুঁচুড়ার এক বালক ও এক মহিলার। আহত হন চার জন। রবিবার রাতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি কংক্রিটের থামে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। কুয়াশার জেরে ওই দুর্ঘটনা বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অস্প্রি মহান্তি (১২) এবং রিনা সিংহ (৪৫)। অস্প্রি কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের সিংহিবাগান এলাকার বাসিন্দা। রিনাদেবীর বাড়ি অদূরে বিদ্যাভবন পল্লি ফার্স্ট লেনে। অস্প্রির বাবা কার্তিকবাবু রিনাদেবীদের গাড়ি চালান। রবিবার সকালে রিনাদেবীদের গাড়িতেই কার্তিকবাবু, তাঁর স্ত্রী বাসন্তীদেবী এবং অস্প্রি বালেশ্বরে যান। গাড়িতে ছিলেন রিনাদেবী, তাঁর ছেলে তৃষিত এবং কার্তিকবাবুর আত্মীয় অজয় বেহেরাও। রাতে ফেরার পথে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তৃষিত। দিঘা হয়ে দিঘা-তমলুক সড়কে মারিশদা থানার গয়াগিড়ির কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। আহতদের কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অস্প্রি এবং রিনাদেবী মারা যান। পরে আহতদের কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। পরে সেখান থেকে কার্তিকবাবু এবং তাঁর স্ত্রী বাসন্তীদেবীকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সোমবার ভোরেই দেহগুলি আনতে দুই পরিবারের লোকজন কাঁথি রওনা হন।

নাবালিকার শ্লীলতাহানি, যুবক গ্রেফতার মগরায়

চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে বছর দশেকের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে মগরার ত্রিবেণীর বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা তরুণ দে নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সন্ধ্যায় নাবালিকার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগেই তরুণ ওই নাবালিকাকে ডেকে বাড়ির পিছনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। বাবা-মা বাড়ি ফিরলে নাবালিকা তাঁদের ঘটনার কথা জানায়। ছেলেকে নিয়ে ওই নাবালিকার মা অভিযুক্তের বাড়িতে যান। দু’পক্ষের বচসা হয়। সেই সময়ে অভিযুক্ত নাবালিকার দাদাকে ধরে বেধড়ক মারধর করছে, এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে। তার পরে নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বধূকে কুপ্রস্তাব, যুবক গ্রেফতার

এক মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঘটনা। স্বরূপ ঘোষ নামে গোঘাটের সেলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়িও গোঘাটে। রবিবার তিনি স্বামীর সঙ্গে আরামবাগে কেনাকাটা করতে আসেন। বাড়ি ফেরার সময়ে ওই মহিলা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর স্বামী কিছুটা দূরে ফল কিনতে যান। তখনই স্বরূপ ওই কাণ্ড ঘটান বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলার স্বামী। মহিলার চিৎকারেই আশপাশের ব্যবসাায়ীরা চলে আসেন। ধৃতকে সোমবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুকুরে বৃদ্ধার দেহ

বাড়ির কাছের পুকুর থেকে আরামবাগের সুলতানপুর গ্রামের এক বৃদ্ধার মৃতদেহ মিলল সোমবার সকালে। মৃতার নাম গৌরীদাসী ঘোষ (৮০)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাড়ির লোকের অজান্তে রবিবার রাতে বিশেষ প্রয়োজনে পুকুরে নেমে ডুবে যান ওই বৃদ্ধা। সোমবার ভোরে বৃদ্ধাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন। পরে পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

অস্বাভাবিক মৃত্যু

রবিবার রাতে খানাকুলের বালিপুরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অষ্ট মেটে (৪৮) নামে ওই ব্যক্তির দেহ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

কোজাগরীর চাঁদ।—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE