আরপিএফের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
রেল সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) জওয়ানদের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে টাকা চাওয়া এবং মারধরের অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে ঘণ্টা পাঁচেক আরামবাগ স্টেশন থেকে ছাড়া শহরের নানা রুটের অটো চালানো বন্ধ রাখলেন চালকেরা। আরপিএফ অভিযোগ মানেনি। অটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েন। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের ট্রেন ধরতে পারেননি। অটো-চালকদের অভিযোগ, প্রায়ই আরপিএফ জওয়ানরা তাঁদের কাছ থেকে টাকা দাবি করছেন, না দিলে মারধরও খেতে হচ্ছে। এই অভিযোগে এ দিন অটো-চালকেরা বিক্ষোভ দেখান আরামবাগের রেল স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে। বেলা ১২টা নাগাদ পুরপ্রধান স্বপন নন্দী স্টেশন চত্বরে গিয়ে আরপিএফের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার আশ্বাস দিলে অটো পরিষেবা ফের চালু হয়। আরপিএফের দাবি, অটো-চালকদের বেপরোয়া গতিতে চালানো এবং রাতে তাঁদের মদ-গাঁজার নেশা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করাতেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ আরপিএফের শেওড়াফুলির আইসি আশুতোষ বর্মা আরামাবগ স্টেশনে এসে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়ে দেন, স্টেশনে সুরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি অটো-চালকদেরও যাতে অসুবিধা না হয় তার ব্যবস্থাপনা করা হবে।
ডাক বিভাগের বস্তা নিখোঁজ
দু’দিন আগে ডাক বিভাগের একটি বস্তা গোঘাটের এক ডারঘর থেকে অন্য ডাকঘরে মোটরবাইকে করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। রবিবারেও তার সন্ধান মিলল না। ওই বস্তায় কয়েক হাজার টাকা, রেজিস্ট্রি চিঠি, স্পিড পোস্ট, আধাার কার্ড-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল বলে ডাক বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত ডায়েরিও করা হয়েছিল গোঘাট থানায়। পুলিশ জানায়, ওই বস্তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর ঘোষ নামে তাদের এক কর্মী শুক্রবার সকালে বালি ডাকঘর থেকে ওই বস্তা তাঁর মোটরবাইকের পিছনে বেঁধে সংশ্লিষ্ট শাখা ডাকঘর রাধাবল্লভপুর এবং দামোদরপুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই বস্তাটি নিখোঁজ হয়। শঙ্করবাবুর দাবি, “বালি-দেওয়ানগঞ্জ রাস্তাটি ভাঙাচোরা। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কয়েক বার পিছনে হাত দিয়ে দেখেওছি ব্যাগ ঠিক আছে কিনা। রাধাবল্লভপুর ডাকঘরে এসে দেখি, পিছনে ব্যাগ নেই।” বালি ডাকঘরের পোস্টমাস্টার অজিত সরকার জানান, বিষয়টি লিখিত ভাবে ডাক বিভাগের আঞ্চলিক অফিসে জানানো হয়েছে।
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল বালকের। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের উর্দিবাজারে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মহম্মদ সাহিল (৯)। তার বাড়ি কুঠির মাঠ ছোট মসজিদতলায়। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সে পাশেই উর্দিবাজারের রাস্তায় খেলছিল। সেই সময় মাল বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা মারে। গ্রেফতার হয়েছে চালক।
ছাত্রী-সহ দু’জনের অপমৃত্যু
এক ছাত্রী-সহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আরামবাগ মহকুমায়। শনিবার সকালে সুভয়পুরের বাসিন্দা দেবপ্রিয়া সাঁতরা (১৫) নামে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই সে মারা যায়। রবিবার সকালে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় খানাকুলের শেখপুরের বাসিন্দা আনন্দ রুইদাস (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ তাঁর দোকান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শীত পড়ার আগেই সার্কাস। পাঁচলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy