Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

এক ছাত্রকে মারধর ও তাঁর দুই সহপাঠিনীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শ্রীরামপুরের বেসরকারি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিভাবকেরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানেননি।

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

ছাত্রদের মার, ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

এক ছাত্রকে মারধর ও তাঁর দুই সহপাঠিনীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শ্রীরামপুরের বেসরকারি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিভাবকেরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানেননি। স্কুলের তরফে অমল রায়ের দাবি, “ওই সব অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। আসলে, স্কুলের সুনাম নষ্টের চক্রান্ত করা হচ্ছে।” কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, পড়ুয়ারা ভুল করায় শাসন করা হয়। তা নিয়ে অভিভাবকরা অকারণে ‘বাড়াবাড়ি’ করছেন। যাতে মদত রয়েছে কিছু শিক্ষিকার। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের পাশে ওই বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরিকাঠামো নিয়ে ইদানীং নানা অভিযোগ তুলছিলেন অভিভাবকদের একাংশ। তঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি দক্ষ কয়েক জন শিক্ষককে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল এবং বদমেজাজি’ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তার ওপর অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ায় স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। এ সব নিয়ে পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগে মৌ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, সোমবার জিৎশঙ্কর ভট্টাচার্য নামে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধর করেন রসায়নের এক শিক্ষক। সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানায়। পর দিন তাঁর মেয়ে এবং ওই শ্রেণিরই পড়ুয়া শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আশিকা নাগ নামে দুই ছাত্রীকে ঘণ্টা তিনেক টিচার্স রুমে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা করেন চার শিক্ষক। এমনকী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করলে স্কুল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাঁচ শিক্ষককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

হোম পরিদর্শনে কর্তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা • লিলুয়া

পনেরো জন মহিলা আবাসিকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেন লিলুয়া হোম কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ পুলিশে জানান, বাংলাদেশি ওই আবাসিকেরাই সকালে মারধর, ভাঙচুর ও পাঁচিল নির্মাণে বাধা দেওয়ায় যুক্ত। মঙ্গলবার শ্রমিকদের মারধর করে পালাতে চেষ্টা করে ২৫ জন বাংলাদেশি। বুধবার হোমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন সমাজকল্যাণ দফতরের অধিকর্তা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ও জেলার সমাজকল্যাণ আধিকারিক-সহ অন্যান্য কর্তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁরা হোম-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ, এ দিন পুলিশ গেলে ফের গণ্ডগোল শুরু করেন বাংলাদেশি আবাসিকেরা। হোমের সীমানা পাঁচিলের কাজ করতে আসা শ্রমিকদের ইট নিয়ে তাড়া করেন। মাচা-মই থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে ফের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের পুলিশ মোতায়েন হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখতে হবে।” হাওড়ার (সদর) মহকুমা শাসক বাণীব্রত দাস বলেন, “হোমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আধিকারিকেরা যান। বাংলাদেশিদের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ১৫ জন আবাসিক কোনও কথাই শুনতে চাইছেন না, গণ্ডগোল করছেন। তাই তাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।”

সিপিএম ছেড়ে প্রধান

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর

দল বদল করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন সিপিএমের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুর ১ ব্লকের কমলপুর পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত ছিল সিপিএমের। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯টি আসনে সিপিএম পায় ১০টি। তৃণমূল পেয়েছিল ৯টি। রুমা জানা নামে এক সিপিএম সদস্য কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেন। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ৩১ অক্টোবর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১০টি। ফলে হেরে যান প্রধান। বুধবার প্রধান নির্বাচনে ১০টি ভোট পেয়ে জয়ী হন রুমাদেবী।

শর্ত পূরণ হয়নি, জামিন পেলেন না সুদীপ্ত সেন

জামিন পেলেন না সারদা গোষ্টীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার আরামবাগ আদালতে তাঁকে তোলা হলে বন্ডের শর্তপূরণ না হওয়ায় জামিন নাকচ হয় তাঁর। বিচারক শ্রীময়ী কুণ্ডুু তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ৫ নভেম্বরও একই কারণে তাঁর জামিন নাকচ হয়েছিল। সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আরামবাগে দায়ের হওয়া ২টি মামলার একটি সিবিআই নিয়েছে। বাকি এই মামলা থেকে মাসখানেক আগেই জামিন হয় তাঁর মক্কেলের। কিন্তু যে শর্তে (১০ হাজার টাকা) জামিন হয়েছিল তা দাখিল না করায় জামিন কার্যকর হয়নি।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মোটরসাইকেল আরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তৃপ্তি দাস (৩৪)। হুগলির মগরার নয়াসরাই সিকদার পাড়ার বাসিন্দা তৃপ্তিদেবী বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ মোটর সাইকেলে অসম লিঙ্ক রোড ধরে বাড়ির দিকে আসছিলেন। পাল পাড়ার কাছে পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারলে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ডাকাতির আগেই গ্রেফতার ৪ দুষ্কৃতী

ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া চার দুষ্কৃতী পুলিশের জালে ধরা পড়ল।তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে চাঁপাদানির ছাইমাঠ এলাকায় হানা দিয়ে অ্যাঙ্গাস এলাকার বাসিন্দা রবি থাপা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি ছ’ঘরা পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তাকে জেরা করে এলাকারই আর এক জায়গা থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় তিন ধৃত প্রকাশ রভড়, শেরু পণ্ডিত এবং সুরেশ প্রসাদ জানায়, এ দিন রাতে ডাকাতি করতেই চাঁপদানি এলাকায় ১০-১২ জনের এক ডাকাত দল জড়ো হয়েছিল। তিন জনক গ্রেফতার হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

বৃন্দাবনচন্দ্রর মন্দির। গুপ্তিপাড়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE