Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষা দিয়েও ফলে ‘অনুপস্থিত’ ৫০ জন পরীক্ষার্থী

বিষয় ছিল— পুষ্টিবিজ্ঞান। মার্কশিটে প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার নম্বর রয়েছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সবাই ‘অনুপস্থিত’! উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে মার্কশিট পেয়ে নিজেদের পুষ্টিবিজ্ঞানের লিখিত পরীক্ষায় ‘অনুপস্থিত’ দেখে চমকে গিয়েছে ডোমজুড় কেশবপুর হাইস্কুলের ৫০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিয়েও কী ভাবে তারা ‘অনুপস্থিত’ হল তা নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ওই পরীক্ষার্থীরা।

অভিষেক চট্টোপাধ্যায়
ডোমজুড় শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০১:১৪
Share: Save:

বিষয় ছিল— পুষ্টিবিজ্ঞান। মার্কশিটে প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার নম্বর রয়েছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সবাই ‘অনুপস্থিত’!

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে মার্কশিট পেয়ে নিজেদের পুষ্টিবিজ্ঞানের লিখিত পরীক্ষায় ‘অনুপস্থিত’ দেখে চমকে গিয়েছে ডোমজুড় কেশবপুর হাইস্কুলের ৫০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিয়েও কী ভাবে তারা ‘অনুপস্থিত’ হল তা নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ওই পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাটিকে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যা’ দাবি করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সোমবার সংশোধিত মার্কশিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

ওই হাইস্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সেখান থেকে ৮৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিল। ৬০ জনের বিষয় ছিল পুষ্টিবিজ্ঞান। তাদের মধ্যে ৫০ জনের মার্কশিটে ওই বিভ্রান্তি হয়েছে। ওই সব পড়ুয়াদের আশঙ্কা, সঠিক সময়ে সংশোধিত মার্কশিট না পেলে তাঁদের কলেজে ভর্তি হতে সমস্যা হবে।

ওই পরীক্ষার্থীদের এ বার ‘সিট’ পড়েছিল ডোমজুড়েরই খসমরা হাইস্কুলে। বিষয়টি জানার পরই খসমরা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কেশবপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হারাধন কোঙার। জানানো হয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। হারাধনবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটি করছে। তবে শিক্ষা সংসদের কর্তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। আশা করছি, সোমবার নতুন মার্কশিট পেয়ে যাব।’’

খসমরা হাইস্কুল সূত্রে জানানো হয়, পুষ্টিবিজ্ঞান পরীক্ষার দিনে তাদের স্কুলে ৬০ জন পরীক্ষার্থীই উপস্থিত ছিল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ডোমজুড়ের সেন্টার ইনচার্জ দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘খসমরা হাইস্কুল থেকে পুষ্টিবিজ্ঞান পরীক্ষায় খাতা, উপস্থিতির স্বাক্ষর-সহ অন্যান্য নথি অক্ষত ভাবে উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর হয়তো কোনও সমস্যা হয়েছে।’’

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পাঠানো প্রতিটি বান্ডিলে ৫০টি করে খাতা থাকে। সম্ভবত, পুষ্টিবিজ্ঞানের খাতার বান্ডিল থেকে মার্কশিটে নম্বর তোলা হয়নি। এ ছাড়াও, কম্পিউটার সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যাও হয়ে থাকতে পারে। তাঁর দাবি, ‘‘সমস্যা মিটে গিয়েছে। কেশবপুর হাইস্কুলকে শনিবারই সংসদ থেকে সংশোধিত মার্কশিট নিতে আসতে বলা হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ সোমবার আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE