সহকর্মী ও স্কুল পরিচালন সমিতির একাংশের বাধায় শুক্রবার স্কুলে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। সোমবার অবশ্য বাধা পেতে হয়নি তারকেশ্বরের বালিগোড়ি অধরমনি দত্ত বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র জানাকে। কথা মতো এ দিন পুলিশ তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেয়।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জানুয়ারি মাসে সুভাষবাবুকে সাসপেন্ড করে স্কুলের পরিচালন সমিতি। এর পরেই সুভাষবাবু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। তাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। এর পরেই প্রধান শিক্ষক পদে ফের তাঁকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই মতো শুক্রবার তিনি স্কুলে যান। অভিযোগ, সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গেলেও এক সহকর্মী এবং স্কুল পরিচালন সমিতির এক সদস্য তাঁকে হাজিরা খাতায় সই করতে বাধা দেন। সাসপেন্ড করার পরেও তিনি কেন স্কুলে এসেছেন, তার জবাবদিহি চাওয়া হয়। উপায় না দেখে তিনি ফিরে যান। ভয়ে শনিবার আর তিনি স্কুলে যায়নি। অভিযোগ জানান তারকেশ্বর থানায়।
এ দিন কাজে যোগ দেওয়ার সময় অনেক সহকর্মী তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘স্বাভাবিক পরিবেশেই কাজ করেছি। খাতায় সইও করেছি। আমি যে চোর নই সেটা তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’ যাঁর বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, সেই পরিচালন সমিতির সদস্য দীনবন্ধু কোলে অবশ্য এ দিন কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। যদিও স্কুল পরিচালন সমিতির সমিতির সভাপতি তথা বালিগোড়ি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারের এই তদন্তকে আমরা মান্যতা দিচ্ছি। কেউ ওঁকে বাধা দেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy