পঞ্চায়েত দফতরের সামনে মুখোমুখি দুই দল। ছবি: দীপঙ্কর দে।
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিল সিপিএমের কৃষক সভা। সেখানে এসে সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা স্লোগান তুলতে শুরু করেন তৃণমূলের এক দল সমর্থক। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির চণ্ডীতলা ১ ব্লকের গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতে। তবে পুলিশ থাকায় গোলমাল হয়নি।
সিপিএমের অভিযোগ, দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে চেয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। স্মারকলিপি দিতে আসা লোকজনকে হুমকি দেয় তারা। পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল মালিক অবশ্য এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ কৃষক সভার শ’খানেক লোক গঙ্গাধরপুর বাজার থেকে মিছিল করে পঞ্চায়েতের সামনে জড়ো হন। আন্দোলনকারীদের তরফে চার জন পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল মালিককে স্মারকলিপি দিতে দফতরে ঢোকেন। বাকিরা পঞ্চায়েত ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা, ১০০ দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামের বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি ওঠে। পঞ্চায়েত প্রধানের ইস্তফার দাবিও তোলেন আন্দোলনকারীরা।
এ সবের মধ্যেই দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ একটি ম্যাটাডরে চেপে তৃণমূলের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক সেখানে চলে আসে। তারা সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে। হুলুস্থূল শুরু হয়। গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ দু’পক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ স্মারকলিপি দিয়ে কৃষক সভার নেতারা বেরিয়ে আসেন। এর পরে সিপিএম এলাকায় মিছিল করে। তৃণমূলও পাল্টা মিছিল করে।
কৃষক সভার নেতা , ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য বিজন সাঁতরা বলেন, ‘‘প্রধানকে জানিয়েই স্মারকলিপির দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। প্রধান নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু আমরাই নই, তৃণমূলের লোকজনও তো প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘প্রধানের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর পতাকা হাতে এসেছিল পরিস্থিতি অশান্ত করে দুর্নীতির বিষয়টি চেপে রাখতে!’’ পঞ্চায়েত প্রধান দুলালবাবু বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। আর বাকি অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হবে।’’ কিন্তু বিরোধী দল স্মারকলিপি দিতে আসার সময় তৃণমূলের অত লোক জড়ো হল কেন? প্রধানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy