তাণ্ডবের চিহ্ন। ছবি: মোহন দাস।
মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর এবং তাঁর ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় আরামবাগ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরাপল্লিতে। তৃণমূল প্রার্থী সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই হামলা চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ জনা পনেরো যুবক সুশোভন ঘোষের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সুশোভনবাবুর অভিযোগ, “সুজিত দলবল নিয়ে এসে হুমকি দেয়, শুক্রবারের মধ্যে যেন মনোনয়ন তুলে নিই। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে ওরা। প্রতিবাদ করায় ভাই শুভেন্দুকে মারধর করে। বৃদ্ধ বাবাকে ধাক্কা মারে। স্ত্রীকে গালিগালাজ করে।” খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ততক্ষণে অবশ্য হামলাকারীরা পালায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ভাঙা। ফ্রিজ-ডাইনিং টেবিল-সহ অন্যান্য আসবাব পত্রও ভাঙচুর করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, বুধবার মনোনয়ন জমার পরই তা প্রত্যাহার করতে তৃণমূলের তরফে সুশোভনকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। জেলা কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর প্রীতম ঘোষ বলেন, “আরামবাগে সিপিএমের অত্যাচার কম সহ্য করিনি আমরা। সেই ট্র্যাডিশন চলছে এখনও। শাসক দল হামলা চালাবে আর মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবে? তার চেয়ে বরং সরকার বলে দিক, একটাই দল নির্বাচনে লড়বে।”
তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সুজিতের বক্তব্য, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বিদায়ী পুরপ্রধান তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দীর বক্তব্য, “সুশোভন ব্যবসা করেন। শুনেছি, মহাজনদের অনেকে ওঁর থেকে টাকা পান। তাঁরাই বাড়িতে চড়াও হয়ে থাকতে পারেন।”
অন্য দিকে, বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি আসিত কুণ্ডুুর অভিযোগ, বুধবার রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী চন্দনা মুনিয়ান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জয়ন্তী পাত্র এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী উপানন্দ মালের বাড়িতে তৃণমূলের ছেলেরা চড়াও হয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। কয়েকজন প্রস্তাবককে মারধরও করা হয়। তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy